মাসের ২৫ দিনই শুটিং করতে হয় হিমিকে

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ তরুণ প্রজন্মের অন্যতম মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। খুব ছোটবেলায় অভিনয় শুরু করেন শিশুশিল্পী হিসেবে। টেলিভিশন নাটকে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। শোবিজের চেনা মুখ তিনি।

তার ব্যস্ততার পরিমাণ এতটাই বেশি যে, মাসের ২৫ দিনই তাকে করতে হয় শুটিং! কাজের এমন ব্যস্ততা বিগত বছরগুলোতেও ছিল এ অভিনেত্রীর। তবে এ বছরের মতো কাজের ব্যস্ততা আগে হয়নি বলে জানালেন তিনি।

কাজের তুমুল ব্যস্ততা প্রসঙ্গে গনমাধ্যমকে হিমি বলেন, ‘এ বছরের মতো কাজের এমন ব্যস্ততা আগে হয়নি। কারণ, দর্শকদের ভালোবাসা ও আল্লাহর ইচ্ছায় বিগত কয়েক বছর ধরেই আমি নাটক নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি।

তবে এবার শিডিউল অনেক ব্যস্ত গিয়েছে। আমার মনে আছে, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় শুটিং শিডিউল এতটাই টাইট ছিল যে, ঈদের তিন দিনের মাথায় আমার আবার শুটিং সেটে যাওয়া লাগে। কেননা নাটকগুলো ঈদের সাত দিনের মাথায় প্রকাশ হবে। তাই একটু কষ্ট হলেও বিষয়গুলো আমি উপভোগ করেছি।

২০২৪ সালে অনেক নাটকে দেখা গেছে হিমিকে যার বেশিরভাগেই পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। এ প্রসঙ্গে হিমি বলেন, ‘আমি এ বছর অসংখ্য নাটকে কাজ করেছি, যা গুনে রাখা অসম্ভব। ইচ্ছা আছে সামনের বছর আরও বেশি কাজ করার। তবে ২০২৫ সালে কমেডি গল্পের চেয়ে রোমান্টিক ও ড্রামাটিক কাজে মনোযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর নিজেকে ভার্সেটাইল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা থাকবে।

ওটিটিতে কাজ করতে চান কিনা জানতে চাইলে হিমি বলেন, ‘ওটিটির কাজের অফার খুব যে আমার কাছে এসেছে, তা কিন্তু নয়। কিছু কাজ এসেছিল, যা গল্প ভালো না লাগায় আমার করা হয়নি। তবে ভালো কাজ এলে অবশ্যই করার ইচ্ছা আছে। আমি ওটিটিতে একটি কাজও করেছিলাম, চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে। কাজটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান জি ফাইভের ছিল, পরে সেটা আর প্রকাশ পায়নি। তাই ভালো কাজ হলে অবশ্যই আমি করব। এ ছাড়া নাটকে অভিনয়ই আমি উপভোগ করছি।

২০১৪ সালে বিপ্লব সাহার উদ্যোগে রং আরটিভি টুয়েন্টি টুয়েন্টি কালারস মডেল সার্চ প্রতিযোগিতায় হিমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘মোহর আলী’ (ধারাবাহিক)। এরপর অসংখ্য নাটকে কাজ করেছেন হিমি। তার জনপ্রিয় নাটকের তালিকায় রয়েছে—‘মামার বাড়ি’, ‘আমার একজন মানুষ আছে’, ‘বউয়ের দাঁত ৩২’, ‘মন মাজার’, ‘জাস্ট ম্যারিড’, ‘গাধা’, ‘বেক্কল না সোজা’, ‘পাত্তা পায় না সাত্তার ভাইস’ ইত্যাদি।

Leave a Reply

Translate »