আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সেনাবাহিনীর ঝিনাইদহ আর্মি ক্যাম্পের বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেয়া ভারতীয় দ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার অভিযানকে কেন্দ্র করে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ‘অভিযানের নামে সাধারণ মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কতিপয় অতি উৎসাহী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, বিভ্রান্তিকর ও একপেশে এই প্রতিবেদন দেশবাসীর কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার একটি অপপ্রয়াস বলে প্রতীয়মান।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ০১ অক্টোবর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ হতে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায় যশোর থেকে মাগুরা হয়ে ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে (ঢাকা মেট্রো-উ ১৪-২০১২) বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেয়া ভারতীয় দ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দল কাভার্ড ভ্যানটিকে মাগুরার ভায়না মোড়ে থামালে দেখা যায় যে, কাভার্ড ভ্যানটি একটি পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত। কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও সহকারিকে পরিবহনকৃত পণ্য প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হলে তারা ভ্যানটির দরজা খুলে দেয় এবং ভ্যানটির ভিতরে সন্দেহজনক কয়েকটি বস্তায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, প্রসাধন সামগ্রী ও প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়। এ সময় চালক ও সহকারি বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য পরিবহনের স্বপক্ষে বৈধ নথিপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে বিস্তারিত তল্লাশীর জন্য কাভার্ড ভ্যানটিকে নিকটস্থ আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
অতঃপর ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ এর সহযোগিতায় বিস্তারিত তল্লাশীর পর শুধুমাত্র যে সকল দ্রব্যসামগ্রীর বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি সে সকল দ্রব্যসামগ্রী অবৈধ পণ্য হিসেবে জব্দ করে সিজার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি এর ০২ জন প্রতিনিধি সেনাবাহিনী ক্যাম্পে আসেন। কিন্তু জব্দকৃত দ্রব্য সামগ্রীর অনুকূলে বৈধ নথিপত্র উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে আইনি প্রক্রিয়ায় শুল্ক ফাঁকি দেয়া পণ্যসমূহ মাগুরা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা বিদেশি পণ্য আটকের উদ্দেশ্যে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। যৌথ বাহিনী কর্তৃক এই উদ্ধার অভিযান বিভিন্ন গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হলেও, শুধুমাত্র ওই পার্সেল ও কুরিয়ার কোম্পানির মালিকাধীন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদটিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচারিত হয়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও পেশাদারী মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।