আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো বটেই, যেকোনো বিশ্বকাপেই এটি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথমবার ফাইনালে ওঠা। এর আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল থেকে বারবার বিদায় নিতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি মার্করাম-ইয়ানসেনরা৷
ইনিংসের প্রথম ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজেকে ফেরান মার্কো জানসেন। রিজা হেনড্রিকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হার্ডহিটার এই ওপেনার। তিন নম্বরে নামা গুলবাদিন নাইবও বেশিক্ষণ ক্রিজ়ে থাকতে পারেননি। সেই জানসেনের বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এর পরেই রাবাদার এক ওভারে ২ উইকেট। প্রথম বলে ইব্রাহিম জাদরান, চতুর্থ বলে নবিকে বোল্ড করেন। পরের ওভারে আবার জানসেনের শিকার। কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন নানগায়াল খারোতি।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর সর্বোচ্চ ১০ রান করা আজমতউল্লাহকে আউট করেন নরখিয়া। সপ্তম উইকেটে করিম জানাতকে নিয়ে ১৮ বলে ২২ রানের জুটি গড়েন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ৮ রান করা করিমকে ১০ম ওভারে তাব্রিজ শামসি তুলে নেন। তার দুই বল পর অধিনায়ক রশিদ খানকেও হারায় আফগানরাশেষ পর্যন্ত সব উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করে আফগানিস্তান।
৩ উইকেট করে নেন মার্কো জানসেন ও তাব্রিজ শামসি। ২টি করে শিকার করেন রাবাদা ও নরকিয়া।সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ডি কককে হারালেও বিপদ বাড়তে দেয়নি রিজা হেনড্রিকস ও অধিনায়ক মার্করাম। ১ উইকেট হারিয়ে ৬৭ বল হাতে রেখে জয় তোলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ রান করেন হেনড্রিকস ও ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন মার্করাম।