আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি উসকে দিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। ভারতের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল তাঁর ব্যাট। তবে এদিন আর শেষটা অস্ট্রেলিয়ার নয়। ৪৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে হেড ফিরে গেলে ম্যাচ একরকম মুঠোয় চলে আসে ভারতের।
এই ম্যাচে নানা সমীকরণ ছিল। অস্ট্রেলিয়া জিতলে বাংলাদেশের আশা শেষ হয়ে যেত। ওদিকে বাংলাদেশকে হারিয়ে আফগানিস্তানের পয়েন্ট হতে পারত ভারত, অস্ট্রেলিয়ার সমান। তবে হেড ফেরার পর সে সব সমীকরণের ধার না ধেরে ২৪ রানে টানা তৃতীয় জয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে ভারত।
তাতে আবার বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা বেঁচে থাকল। আজ রান রেটের হিসাব নিকাশ মিলিয়ে আফগানিস্তানকে হারাতে পারলে নাজমুল হোসেনরাও যেতে পারেন শেষ চারে। রানের হিসেবে অন্তত ৬২ রানে জিততে হবে। আফগানদের হিসেবও পরিস্কার জিতলে তারাই যাবে সেমিফাইনালে।
সেন্ট লুসিয়ায় টস হেরে ব্যাটিং পাওয়ার পরও রানের গতি দুর্বারই ছিল ভারতের। বলা ভালো, দুরন্ত গতিতে রান তুলছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৫ ওভারে ভারতের তোলা ৫২ রানের ৫০ রানই আসে ১৯ বলে ফিফটি করা রোহিতের ব্যাট থেকে, যা এই বিশ্বকাপের দ্রুততম ফিফটিও। রোহিত শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পেলেন না সেটিই আক্ষেপের কারণ হতে পারে তাঁর। ৪১ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে থেমেছেন মিচেল স্টার্কের বলে।
ভারত ৫ উইকেটে দাঁড় করায় ২০৫ রানের স্কোর। যাতে ১৬ বলে ৩১ সূর্যকুমার যাদবের, ২২ বলে ২৮ শিভম দুবের ও হার্দিক পান্ডিয়ার ২৭ রান ১৭ বলে।
দুই শ পেরোনো ইনিংস তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বড় ভরসা হয়ে উঠেছিলেন হেড। বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করে ভারতকে হতাশায় ডুবিয়েছিলেন। এদিনও সেভাবেই হাসছিল তাঁর ব্যাট। তবে অন্যরা তাঁকে কেউ সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। একের পর এক অন্য প্রান্তে উইকেট হারিছে অস্ট্রেলিয়া।
হেডের সঙ্গে মিচেল মার্শের ২৮ বলে ৩৭, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১২ বলে ২০। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য ইনিংস নেই। আর্শদ্বিপ সিং ৩৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট, ২ উইকেট কুলদীপ যাদবের। ম্যাক্সওয়েলকে বোল্ড করেন যাদব। হেডকে ফিরিয়েছেন অবশ্য জাসপ্রিত বুমরাহ। ক্যাচ নিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ম্যাচের নায়কও তিনি। ক্রিকইনফো