আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ চলমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শুরুটা ভালো হয়নি ক্রোয়েশিয়ার। স্পেনের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল লুকা মদ্রিচের দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আলবেনিয়ার বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ৩ পয়েন্ট নিজেদের করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। দুর্দান্তভাবে কামব্যাক করে অতিরিক্ত সময়ের গোলে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিয়েছে আলবেনিয়া।
বুধবার (১৯ জুন) জার্মানির হামবুর্গে ম্যাচের ১১তম মিনিটে কাজিম লাচির গোলে এগিয়ে যায় আলবেনিয়া। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর পথে এগিয়ে যেতে থাকে তারা। তবে ৭৪তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার আন্দ্রেজ ক্রমারিচ।
এর ২ মিনিট পর ক্লাউস গজাসুলার আত্মঘাতী গোলে লিড নেই ক্রোয়েশিয়ার। মূলত ৭৪ থেকে ৭৬ মিনিট অর্থাৎ এই তিন মিনিটের নাটকীয়তায় ২-১ গোল এগিয়ে যায় তারা। শেষ দিকে যখন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পরিকল্পনা করছে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলাররা। সেই মুহূর্তে অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে আলবেনিয়াকে সমতায় ফেরান আত্মঘাতী গোল করা সেই ক্লাউস গজাসুলার। ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়েছে ম্যাচটি।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে ক্রোয়েশিয়াকে চেপে ধরার চেষ্টা করতে থাকে আলবেনিয়া। প্রথম ভালো সুযোগটি কাজে লাগিয়ে একাদশ মিনিটে এগিয়েও যায় তারা। ডান দিক থেকে বাড়ানো জাসির আসানির ক্রসে বক্সে দুই ডিফেন্ডারের মাঝে থাকা কাজিম লাচির হেড গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচের পাশ দিয়ে জালে জড়ায়।
ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে বারবার হানা দিতে থাকে আলবেনিয়া। ২৯তম মিনিটে এলসাইদের বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া জোরাল ভলি যায় বাইরে। পরের মিনিটে ক্রিস্তিয়ান আসলানির শট ঝাঁপিয়ে আটকান লিভাকোভিচ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রেই মানাজের হেডও আটকান লিভাকোভিচ। এই অর্ধে ক্রোয়েশিয়া কতটা বিবর্ণ ছিল, তা ফুটে ওঠে পরিসংখ্যানেও। একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা!দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। ৫০তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট রাখতে সক্ষম হয় ২০১৮ বিশ্বকাপের রানার্সআপরা। কিন্তু লুকা সুসিচের শট পরাস্ত করতে পারেনি আলবেনিয়া গোলরক্ষককে।
৭৪তম মিনিটে বুদিমিরের ছোট পাস ধরে আন্দ্রে ক্রামারিচের নিচু শট খুঁজে পায় জাল। সমতার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গ্যালারিতে আসা ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকরা। পরের মিনিটে আবারও গোল হজম করতে বসেছিল আলবেনিয়া। সতীর্থের পাস মারিও পালাসিচ ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। কয়েকদফার চেষ্টায় বল গ্লাভসে নিতে পারেন আলবেনিয়া গোলরক্ষক।
আলবেনিয়াকে চেপে ধরা ক্রোয়াটরা এগিয়ে যায় ৭৬তম মিনিটে। পালাসিচের কাটব্যাকে শট নিয়েছিলেন সুসিচ, সামনেই থাকা এক ডিফেন্ডারের পায়ে তা প্রতিহত হয়। তবে ভাগ্য খারাপ আলবেনিয়ার, সামনেই থাকা তাদের মিডফিল্ডার ক্লাউসের পায়ে লেগে বল চলে যায় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে, প্রায়শ্চিত্ত করেন ক্লাউস। নিচু শটে লিভাকোভিচকে পরাস্ত করেন তিনি; হার এড়িয়ে ড্রয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবেনিয়া।