আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ এক রানের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঐতিহাসিক জয় হাতছাড়া হলো নেপালের। শেষ বলে রানআউট রোমাঞ্চে ধুঁকতে ধুঁকতে জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের সুযোগ হারাল নেপাল।
শনিবার (১৫ জুন) আরনোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১১৫ রান করে প্রোটিয়ারা। রেজা হেনড্রিক্স করেন সর্বোচ্চ ৪৩ রান।জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞতার কাছে হার মানে নেপাল। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১১৪ রানে থামে হিমালয়ের ছেলেরা।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান তোলেন দুই ওপেনার আসিফ শেখ ও কুশল ভুরতেল। ২১ বলে ১৩ রানে কুশল ফেরার পর রানের খাতা খোলার আগেই শামসির দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত পাওডেল।
এরপর অনিলের সঙ্গে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন আসিফ। এতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় নেপাল। এরপর ইনিংসের ১১তম ওভারে ১২ এবং ১৩তম ওভারে ১৩ রান তোলে নেপাল। তবে দলীয় ৮৫ রানে এইডেন মার্করামের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অনিল।
এরপর মার্করাম-ইয়ানসেনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে নেপাল। চাপের মুহূর্তে দীপেন্দ্র সিং এবং আসিফ শেখকে ফেরান তাব্রেইজ শামসি।
এতে শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য নেপালের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৬ রান। ১৯তম ওভারে নর্কিয়া শিকার হয়ে ফেরেন কুশল মাল্লা। তবে সোমপাল ছক্কা হাঁকালে ৮ রান তোলেন নেপাল।এরপর জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ রান। শেষ ওভারে ওটনিল বার্টম্যানের প্রথম দুটি বল ডট দিলেও তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান গুলশান ঝা। পরের বলে ২ রান নেন তিনি।
তবে শেষ দুই বলে কোনো রানই নিতে পারেনি নেপাল। বাইরান নিতে গিয়ে রানআউট হন গুলশান। এতে ১ রানের জয় পায় প্রোটিয়ারা। এই হারে সুপার এইটের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল নেপালের।দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তাব্রেইজ শামসি।
এর আগে, ব্যাট করতে নেমে নেপালের স্পিনারদের সামনে কোনোক্রমে ১১৫ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ১০ রানে ডি কক পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি এইডেন মার্করামও। ১৫ রানেই ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর নেপালের স্পিন ঘূর্ণির ফাঁদে পড়েন ডেভিড মিলার এবং হেইনরিখ ক্লাসেনও। তবে ওপেনার রেজা হ্যান্ড্রিকসের ৪৯ বলে ৪৩ এবং স্টাবসের করা ১৮ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস।
নেপালের হয়ে ১৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন কুশল ভুরতেল। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন দীপেন্দ্র সিং।