আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে। তিন ফরম্যাটের বাকি সম্ভাব্যদের নিয়ে বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প চলছে সিলেটে। হাইপারফরম্যান্সের (এইচপি) কার্যক্রম ঢাকায়। আর ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর পাশাপাশি স্টার স্পোর্টসে বিশেষজ্ঞ হিসেবে মতামত দিচ্ছেন তামিম ইকবাল।
মোটকথা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরদিন থেকে মাঠের ক্রিকেটে নেই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। তবে কী…? প্রশ্নটা শেষ হতেও দেননি তামিম, ‘আমি কাল (বৃহস্পতিবার) দুবাই যাচ্ছি। ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। দেড় মাসের জন্য যাচ্ছি।
গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথে অভিমানে অধিনায়কত্বের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। সে নিয়ে ঝড় বয়ে গেছে দেশে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসরের সিদ্ধান্ত পাল্টালেও জাতীয় দলে খেলা না খেলার ব্যাপারে এখনো তামিমের মুখ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু শোনা যায়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে তার।
সেসবের অনানুষ্ঠানিক নির্যাস হলো, তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন। তবে ২০২৫ সালে, তা-ও শুধু ওয়ানডেতে। ‘টাইম লাইন’ ঘাঁটাঘাঁটি করে কানাঘুষা চলছে যে, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চান তিনি। হতে পারে সেটাই তামিমের বিদায়ি মঞ্চ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
তার আগে টানা টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি। শুধু নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজও রয়েছে বাংলাদেশ দলের। আন্তর্জাতিক সূচি বলছে, ওটাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
তামিম নিজে মাঠে ফেরার জন্য কতটা প্রস্তুত? ‘শরীর ভারী হয়ে গেছে। ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে’, বলছিলেন তামিম। প্রায় ছয় সপ্তাহের জন্য দুবাইয়ে এক বন্ধুর বাসায় ওঠার কথা তার। সেখানে থেকে শরীর ঝরঝরে করবেন একজন ফিটনেস ট্রেনারের অধীনে। এর আগে একবার থাইল্যান্ডে এমন ফিটনেস ট্রেনিং করেছিলেন তামিম।