আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে পর আলোচনায় আম্পায়ারিং প্রসঙ্গ। প্রোটিয়া পেসার ওটনিয়েল বার্টম্যানের করা ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে খানিকটা আড়াআড়িভাবে গিয়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মাহমুদ উল্লাহ। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় লেগ বিফোর উইকেটের জন্য আবেদন করেন বোলার ও ফিল্ডাররা। অথচ মাহমুদকে যখন এলবিডব্লিউ আউটের ভুল সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার, তখন বল তার প্যাডে লেগে বাউন্ডারির বাইরে যায়।
আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত না দিলে অতিরিক্ত চার রান পেতে পারত বাংলাদেশ। সেক্ষত্রে ম্যাচটা জিততেও পারতেন নাজমুল হোসেনরা।
ম্যাচে শেষে ক্রিকইনফোর এক আলোচনায় ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ও প্রোটিয়া সাবেক পেসার মরনে মরকেলের সঙ্গে আলোচনায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।তামিম বলেন, ‘এই চার রান বাংলাদেশের ভাগ্য বদলে দিতে পারত।
এটা হতে পারত। আমি হয়তো সমর্থকদের মতো কথা বলছি। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন, এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ধারাভাষ্যকক্ষেও সবাইকে এ নিয়ে কথা বলতে শুনেছি।
আউট ঘোষণার পর বল ‘ডেড’ হয়ে যায়। যে কারণে বাদ যায় চারটি রান। আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তের জন্য বল বাউন্ডারি পার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে যেত বলে মনে করেন তামিম, ‘আমার মনে হয়, আপনার কাছে যখন সময় আছে, আপনি কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে দেখতে পারেন, বল কোথায় গেল। সেটা কি বাউন্ডারি হলো, নাকি হলো না! এরপর আপনি আপনার সিদ্ধান্ত জানান। যদি ব্যাটার আউট না হয়, আর বল যদি বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়, তবে সে ক্ষেত্রে রান দেওয়া উচিত।
যদি সে আউট না হয় আর কি।
একই কথা বলেন মাঞ্জরেকারও এটা নিয়ে সমর্থকেরা অনেক কথা বলছেন। আম্পায়ার কি সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন না? আম্পায়ার চাইলে বলটা বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন এবং তারপর তাঁর আঙুল তুলতে পারেন বা বলতে পারেন যে আউট হয়নি। এরপর সেটা আপনি রেকর্ড করলেন এবং রিভিউর পর যা হওয়ার তা হবে।
তামিম তার আলোচনায় জানান, আইসিসির উচিত এই নিয়ম বদলানো। তামিম বলেন, ‘এটা এমন কিছু, যেখানে আইসিসি গুরুত্বের সঙ্গে মনোযোগ দিতে পারে। কারণ, এটা এমন কিছু নয় যে তাদের বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে।
তামিমের সঙ্গে একমত মরকেলও আমি একমত। কোনো সন্দেহ নেই। এটা বদলানো জরুরি। আশা করি, বিশ্বকাপের পর তেমন কিছু হবে।