আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আকাশি-নীল জার্সিতে কোপার ফাইনালই হতে যাচ্ছে ডি-মারিয়ার শেষবারের মতো মাঠে নামা। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এরপর আর দেখা যাবে না, সেই চিরচেনা ট্রেডমার্ক হার্ট শেপের উদযাপন।
কোপা খেলেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে আগেই বিদায় জানানোর কথা বলেছিলেন আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলার। আর্জেন্টিনার ট্রফি খরা কাটাতে, যার ভূমিকা ছিল অন্যতম। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের অন্যতম নায়কও এই ডি-মারিয়া।
তার বিষয়ে বলা হয়ে থাকে মেসির আলোতে কিছুটা আড়ালে থেকেছেন ক্যারিয়ার জুড়ে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ফাইনালে ডি-মারিয়া খেলতে পারলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপটাও হতে পারতো আর্জেন্টাইনদের।
ইনজুরির কারণে জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে নামাননি, তখনকার আর্জেন্টাইন কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা। সে সময়ে তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদেরও আপত্তি ছিল, ঝুঁকি নিয়ে সে ম্যাচে ডি মারিয়ার খেলা নিয়ে। যদিও ওই অবস্থায়ও ফাইনালে মাঠে নামতে চেয়েছিলেন, বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ডি-মারিয়া। চেয়েছিলেন ক্যারিয়ার বাজি রেখে হলেও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ট্রফির যুদ্ধে অংশ নিতে।
সবসময় দলের জন্য শতভাগ উজাড় করে দেওয়ায় ডি-মারিয়ার নিবেদন নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। ২০০৮ এ আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হওয়ার পর এ যাবত ১৪৪ ম্যাচ খেলে ৩১টি গোল করেছেন। জিতেছেন অলিম্পিক পদক, কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ ট্রফি। মূলত কোপার ফাইনালে তার করা গোলেই দীর্ঘ দিনের ট্রফি খরা ঘোঁচে আর্জেন্টিনার। এরপর বিশ্বকাপের ফাইনালেও করেন একটি গোল।
বড় ম্যাচের এ তারকার সামনে আর একটি ফাইনাল। সামনে কলম্বিয়া। বিদায়কে রাঙাতে এ ম্যাচেও যে সর্বোচ্চটাই দেবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সতীর্থরাও তার বিদায়ী ম্যাচটি রঙিন করে রাখতে চান ট্রফি উপহার দিয়েই।
সেমিফাইনালের আগে দলনেতা মেসিও তার বন্ধুর বিদায়ের কথা বলেই দলকে উজ্জীবিত করেছেন। ডি-মারিয়ার জন্যই ফাইনালে খেলতে চান বলে দলের সবাইকে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন মেসি। আর যে বিষয়টি ডি-মারিয়াকে করেছে গর্বিত।
একে তো কোপার ফাইনাল। তার উপর ডি-মারিয়ার বিদায়ী ম্যাচ। স্বভাবতই দলের সবাই শতভাগ উজাড় করে দেবে ট্রফি নিশ্চিত করতে। তবে ছন্দে থাকা কলম্বিয়ার বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে আলবিসেলেস্তেদের। এ ম্যাচের ফলাফলে তার সিদ্ধান্তে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন ডি মারিয়া।
তার ভাষ্যমতে, ১৪ জুলাই যাই হোক না কেন, আমি আর কনটিনিউ করবো না। আমি নিজের সবকিছু দিয়েছি। সবসময় নিজের সর্বোচ্চ দিয়েছি, এই জার্সিটার জন্য। যারা আমাকে সমর্থন করেছে, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমি জাতীয় দলে শেষ ম্যাচের জন্য তৈরি না, কিন্তু সময় এসে গেছে।অপরদিকে কোচ কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি অবশ্য চান, ডি-মারিয়া আরও কিছুদিন জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা চালিয়ে যাক।