আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অবসান হয়েছে ২৪ জুন। এই দুই আঞ্চলিক শত্রুর মধ্যে ১২ দিনের আকাশ যুদ্ধের পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। যুদ্ধবিরতির বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্টসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু এরপরেও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির দিক থেকে বিষয়টি স্বীকার করে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য আসেনি।
দেশটির যেকোনো বিষয়ে তার বক্তব্যই শেষ কথা। সে কারণে দেশটির ভেতরে ও বাইরে থেকে এখন নজর দেওয়া হচ্ছে যে তিনি এ বিষয়ে কখন কথা বলেন।
খামেনি তেহরানে তার নিয়মিত বাসবভনে অবস্থান না করে নিরাপদ বাংকারে অবস্থান করছেন, এমন খবর আগেই এসেছে, যদিও তা ইরান নিশ্চিত করেনি।
সবশেষ গত ১৮ জুন তার আগে থেকে রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তা টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে। ওই ভাষণে তিনি ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
পরমাণু সংস্থার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করল ইরান
গত ১৩ জুন থেকে ইসরাইল ইরানের একাধিক স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে ছিল সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাও। ইসরাইল দাবি করেছে, তেহরান একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে, তবে ইরান এ দাবি কঠোরভাবে অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সংঘর্ষে যোগ দিয়ে রোববার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করে।