আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ দায়িত্ব নেওয়ার পর পার্লামেন্টে নিজের প্রথম বক্তব্যেই চীনকে নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে চীনকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, আজ ইউক্রেনের যে অবস্থা, কাল পূর্ব এশিয়ায়ও সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’
জাপানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইশিবা চলতি সপ্তাহেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পার্লামেন্টে সরকারের নীতি বিষয়ে প্রথম বক্তব্য দেন ৬৭ বছর বয়সী এ নেতা। খবর এএফপির।বক্তব্যে তিনি আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং দেশের জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জসহ জাপানের চলমান অনেক সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।
চীনের কথা সরাসরি উল্লেখ না করলেও ইশিবা জাপান ও তার প্রতিবেশীর মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। এই অঞ্চলের বিতর্কিত অঞ্চলগুলোর চারপাশে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তাইওয়ানের ওপর চীনের দাবির বিষয়ে তিনি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রদের বিশেষ উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেন। বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ইশিবা বলেন, ‘মধ্যপ্রচ্যের পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রমশ বিভক্ত ও সংঘাতময় হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, আজ ইউক্রেনের যে অবস্থা, কাল পূর্ব এশিয়ায়ও সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সঙ্গে জাপানের সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। পূর্ব এশিয়ায় বির্তকিত অঞ্চলগুলোর চারপাশে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে বেইজিং। বিশেষ করে তাইওয়ান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বেইজিং দাবি করছে, গণতান্ত্রিক দ্বীপটি তাদেরই ভূ-খন্ডের অংশ। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সঙ্গে নিরাপত্তার সম্পর্ক জোরদার করেছে টোকিও।
চলতি বছরের আগস্টে একটি চীনা সামরিক বিমান জাপানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে জাপানে অনুপ্রবেশ করে। এর কয়েক সপ্তাহ পর তাইওয়ান প্রণালীতে প্রথমবারের একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে জাপান।