আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ চিত্রনায়ক শাকিব খানের দাবি, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনই তাঁর কাছে এখন অতীত। নানা সময়ে দুজনই টেলিভিশন, অনলাইন, প্রিন্টসহ নানা জায়গায় শাকিব খানকে জড়িয়ে কথা ওঠে। বাচ্চাদের সামনে রেখে দুজনই শাকিব প্রসঙ্গে এনে নানা কথা বলেন তাঁরা। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন দুই তারকা। দুজনের এমন ঘটনায় নানা সময়ে শাকিব নাকি বিরক্ত! বিরক্ত হন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।
গত ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্যই দিয়েছেন বুবলী। একবার বলছেন, আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ শাকিবের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এই নায়িকা। গণমাধ্যমে বুবলীর এমন মন্তব্যের পর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শাকিব খান ও তাঁর পরিবার। যদিও এ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে শোনা যায়নি। সম্প্রতি শোনা গেছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’ শাকিবের জন্য পাত্রী দেখছেন পরিবারের সদস্যরা।
এসব প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস ও বুবলী দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অপু আপাতত কথা বলতে চাননি। জানিয়েছেন শিগগিরই কথা বলবেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় বুবলীর সঙ্গে কথা হয়। আমার নিজেকে বা নিজের সিনেমাকে আলোচনায় রাখার জন্য কারও নাম বা কাহিনি বলতে হয় না। কারণ, আমার এবং আমার সিনেমার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা, সিনেমার টিম এবং আমার দর্শকেরাই যথেষ্ট। বরং আপনারা দেখছেন কারা আলোচনায় থাকার জন্য একের পর এক সিরিজ নিউজ করে আমার নাম নিয়ে যেকোনো প্রোগ্রাম বা সাক্ষাৎকারে কথা বলেই যাচ্ছে বছরের পর বছর।
তবে শাকিব খান বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগের ব্যাপারে এই নায়িকার বক্তব্য, ‘নিউজটি দেখেছি। অনেক অভিযোগ। দেখুন নিউজে ঘনিষ্ঠ সূত্র, পরিবারের এক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক—এসব সূত্রেই বা কী কথা বলব? নির্দিষ্ট কারও নাম বা কথা থাকলে কথা বলতে সুবিধা হতো। অভিযোগ ধরে ধরে বলা যেত।
প্রকাশিত খবরের অভিযোগের ব্যাপারে বুবলী আরও বলেন, ‘আমি আমার সিনেমা মুক্তির প্রমোশনাল প্রোগ্রামে যখন অংশগ্রহণ করি, তখন আমার সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিষয় চলে আসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে। তখন আমি সবাইকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক উত্তর দিই। কোথাও কাউকে অসম্মান করে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি না। এখন কেউ সম্মান দেওয়া হজম করতে না পারলে জোর করে আর সম্মান দেব না। তাহলে যাঁরা যেসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন, সেসব আর থাকবে না।
আরও পড়ুনঃ তানজিন তিশা মধ্যরাতে কাকে “হুমকি” দিয়ে একটা পোস্ট করে আবার ডিলিট করে দেন !
প্রকাশিত খবরে শাকিবের পরিবার থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, আপনি নাকি শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মিথ্যাচার করেন। কী বলবেন—এ ব্যাপারে বুবলী বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে কোনোই মিথ্যাচার করিনি, যা নিয়ে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আর মিথ্যাচার করে আমার কী লাভ হবে আপনারাই বলুন? আপনাদের দোয়ায় আমি নিজেই প্রতিষ্ঠিত। চাঁদের মতো আমার সন্তান শেহজাদ আছে। আমার বাবা–মায়ের ভালোবাসা আছে আমার সঙ্গে। তাই আমার জীবনে তো নতুন করে চাওয়া–পাওয়ার কিছুই নেই।
বশেষ ঈদে একটি বেসরকারি টিভিতে শাকিবকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন বুবলী, এতে শাকিবের পরিবার মারাত্মক চটেছে! এ কারণে বুবলীকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্তান শেহজাদের অজুহাতে তিনি যেন শাকিবের বাসা বা অফিসে না আসেন।
এ ব্যাপারে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘দেখুন, আমাকে ওই বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বলেই আমি যাই। তাঁর বাসায় যাওয়া না যাওয়া, মানা করা বা না করা, এটা যেমন শুধু শাকিব খানের সিদ্ধান্ত হতে পারে, তেমনি আমি যাব কি যাব না, এটা আমারও সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ, আমাদের সন্তান আছে, আমার সন্তানের নিরাপত্তা আমার কাছে সবার আগে। কেউ চাইলেই তো আমি আমার সন্তানকে একা কোথাও ছাড়ব না।’
তবে কথা প্রসঙ্গে অপুকে ইঙ্গিত করে বুবলী বলেন, ‘বাবা, মা হিসেবে শেহজাদের জন্য আমরা কী করব, কী বলব, কীভাবে একত্রে সময় কাটাব, ওটাও আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়েও যখন অন্য কেউ অনধিকার চর্চা করেন, নানান ব্যাখ্যা দেন, তখন খুব হাস্যকর লাগে।
শাকিব পরিবারের দাবি, ভবিষ্যতে শাকিব খানকে নিয়ে মিথ্যাচার করলে, পরিবার থেকে আপনার বিরুদ্ধে মামলায় যেতে পারে—এমন কথাও শাকিব পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে। কী বলবেন? এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘ভবিষ্যতে কেন? আমি চাই এখনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তাহলে আমি যে কোনো মিথ্যাচার করিনি, ওটাও আমি প্রমাণসহ আইনিভাবে তুলে ধরতে পারব।
আরও পড়ুনঃ দিলজিৎ দোসাঞ্জের নেটফ্লিক্সের শীর্ষ পাঁচে ‘চমকিলা’
এদিকে খবরে প্রকাশিত হয়েছে, শাকিবকে নিয়ে অপু ও বুবলীর চর্চা, কথাবার্তা, সমাজ ও আত্মীয়স্বজনের কাছে হেয় হতে হয় বলে মনে করেন শাকিব ও তাঁর পরিবার। তাই পরিবার থেকে চলতি বছরই শাকিবের বিয়ের আয়োজন করছে। প্রসঙ্গটি বুবলীর সামনে আনা হলে বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেন, ‘তার এই বিষয়ে কথা বলার কোনো ইচ্ছা নেই। তার এই কথা এত এত বছর ধরে এতবার শুনেছি যে কিছুদিন পর তার সন্তান শেহজাদও এই প্রশ্ন শুনে বলবে “নো কমেন্টস।