ঘাসফড়িং কয়্যার প্রকাশ করল তাদের প্রথম অ্যালবাম—কিছু কথা কিছু গান । নতুন অ্যালবামের সঙ্গে থাকল ঘাসফড়িং কয়্যার তৈরির পেছনের গল্পও। আরমীনের ভাষায়, ‘আমি যখন বার্কলেতে (বার্কলে কলেজ অব মিউজিক, বোস্টন, আমেরিকা) পড়ালেখা করতে যাই। ওখানে গিয়ে আমার সবচেয়ে বড় একটি পরিবর্তন হলো। বাংলাদেশ থেকে যখন যাই, তখন গানে নিজেকে প্রাধান্য দেওয়াটাকেই শিখেছি। কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখলাম ওদের একটা ধরনই আছে যে, অনেকজন একসঙ্গে গান গায়। ওদের স্কিলটাও একদম ভিন্ন। ভীষণ কঠিন একটা ব্যাপার। তবে একজন গাওয়ার থেকে দশজন একসঙ্গে গাওয়ার যে আনন্দ, সেটা পাওয়া যায়।’
সেই আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশে ফিরেই গঠন করলেন ঘাসফড়িং কয়্যার। ধীরে ধীরে পরিচিতি পেতে লাগল তাদের পরিবেশনা। তৈরি হলো ভক্তকুলও। সেই ভক্তদের জন্য নিজেদের গানগুলোর একটা ডকুমেন্টেশন মূলত এই অ্যালবাম। এমনটাই মতামত আরমীনের। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বিভিন্ন জায়গায় গান করলাম। বেশ কিছু গান কয়্যার ফর্মে রিঅ্যারেঞ্জ করলাম। বিভিন্ন গান বানালাম। তখন আমার মনে হলো আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির মুভমেন্টের ক্ষেত্রে এটা বড় একটি ভূমিকা রাখছে। এর একটি ডকুমেন্টেশন করি।’ সেই দিক থেকে তাদের এই পথচলার একটি ডকুমেন্টেশন বলা যায় কিছু কথা কিছু গান।
ঘাসফড়িং কয়্যারের গানের পরিবেশনা একটু ভিন্ন ধাঁচের। মঞ্চে আলাদা করে একজন গান করেন না, গানটা পারফর্ম করেন সবাই মিলে। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই পথচলা। শ্রোতাদের ভালোবাসা, দর্শক জনপ্রিয়তা—সবকিছু মিলে কেটে গেছে প্রায় চারটি বছর।
তাদের নতুন অ্যালবামটিতে আছে আটটি গান। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আনুশেহ আনাদিল,শিবু কুমার শীল ও বুনোও। ঢাকা ও চট্টগ্রামে শিগগিরই গান করবে ঘাসফড়িং কয়্যার। আরমীন জানালেন, তাঁদের যেসব জায়গায় কনসার্ট হবে, সেসব জায়গায় পাওয়া যাবে অ্যালবামটি। এরপর বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও পাওয়া যাবে।দলটির প্রাণ সংগীতশিল্পী আরমীন মুসা জানালেন এ খবর।