বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হলো আলোক স্বল্পতার কারণে। এমনিতেই বৃষ্টির কারণে বেশ কিছুক্ষণ খেলা হয়নি। তারওপর, শেষ বিকেলে আলোক স্বল্পতা। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট শেষ পর্যন্ত তৃতীয় দিনের খেলা শেষ বলে ঘোষণা দিতে বাধ্য হন।
মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এরপর বড় লিড পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস হার এড়াতে অন্তত ২০২ রান করতে হতো টাইগারদের। দলীয় ৪ রানের মাথায় পরপর ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ইনিংস হারের শঙ্কা ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকের পাল্টা প্রতিরোধে লড়াইয়ে ফেরে স্বাগতিকরা।
আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের সকালটাও ছিল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের। ৭ ওভারেই টাইগারদের ৩টি উইকেট হারিয়ে বসে তারা। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই ফিরে গেছেন আগের দিনের অপরাজিত জয় ও মুশফিক। আজ আবারও ব্যর্থ হন লিটন দাস। আবারও ইনিংস হারের শঙ্কা মাথাচাড়া দেয়। অবশ্য এবার দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর জাকের আলী অনিক।
দিনের শুরুতে উইকেটের পেছনে কাগিসো রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জয়। এক বল পরই রাবাদার ইনসুইংয়ে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। টেস্টের প্রথম ইনিংসেও মুশফিক অবশ্য এভাবেই বোল্ড হয়েছিলেন। আউট হওয়ার আগে জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪০ ও মুশফিকের ব্যাট থেকে ৩৩ রান।
এরপরেই বিদায় নেন লিটন দাস। কেশভ মহারাজের সুইং করা বল লিটনের ব্যাট-গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার হাতে। তাতেই আউট হন লিটন।
এরপর এগোতে থাকেন জাকের এবং মিরাজ। দুজনেই পেয়েছেন হাফ-সেঞ্চুরির দেখা। ১১১ বল খেলে ৫৮ রান জাকের বিদায় নিলে নাইম হাসানকে নিয়ে এগোতে থাকেন মিরাজ। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি, আর বাংলাদেশের রান তখন ৭ উইকেটে ২৬৭।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও আলোকস্বল্পতায় বল করতে পারবেন না পেসাররা। বৃষ্টির পর খেলার শুরুর পর থেকেই বোলিং করছেন এইডেন মার্করাম ও কেশব মহারাজ।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৩। টাইগারদের জন্য স্বস্তির, ইনফর্ম ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ ৮৭ রান নিয়ে রয়েছেন উইকেটে। বাংলাদেশ দলের লিড দাঁড়িয়েছে ৮১ রানের।