ধুরন্ধর কানকাটা রমজানের কথা মনে আছে? কূটবুদ্ধি দিয়ে বাকুলিয়া গ্রামের মিয়ার ব্যাটাকে সরিয়ে নিজেই একসময় জমিদার বনে যায় রমজান। হুমায়ুন ফরীদি এই চরিত্রের জন্য এখনও প্রশংসিত।
দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী দর্শকদের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের পক্ষ থেকে বিশেষ আয়োজন হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গেল ৬ এপ্রিল থেকে বিভিটিতে হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত দুই ধারাবাহিক নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‘বহুব্রীহি’ প্রচার শুরু হয়েছে। এবার ৩০ বছর পর বিভিটিতে আবার প্রচার হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’। যে নাটকের সুবাদে হুমায়ূন ফরীদি পেয়েছেন ‘কানকাটা রমজান’-এর খেতাব!
বিটিভির মহাপরিচালক এস. এম. হারুন-অর-রশীদ জানান, ইতিমধ্যে ধারাবাহিকটি টেপ থেকে ট্রান্সফারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টা ও ৯টায় যথাক্রমে প্রচারিত হচ্ছে ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‘বহুব্রীহি’। গত ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বহুব্রীহি নাটকের বাকি অংশ প্রচার শেষ হলেই ‘সংশপ্তক’ প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‘বহুব্রীহি’ নাটক দুটি পুনঃপ্রচারের পর দারুণ সাড়া মিলছে দর্শক-সমালোচকদের পক্ষ থেকে। এমন উদ্যোগের জন্য গৃহবন্দি দর্শকদের পক্ষ থেকে বিটিভি পাচ্ছে নিয়মিত ধন্যবাদপত্র। মূলত এমন অভিজ্ঞতা থেকে নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিটিভির মহাপরিচালক এস. এম. হারুন-অর-রশীদ।
শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস ‘সংশপ্তক’ অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য তৈরি করেন ইমদাদুল হক মিলন। ১৯৭১ সালে ধারাবাহিক নাটক হিসেবে এটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল, কিন্তু চার পর্ব প্রচারের পর সেই বছর মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় এর নির্মাণ ও সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৮৮ সালে নাটকটির কাজ আবার শুরু হয়। কিন্তু একই বছর বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে এর কাজ আবার বন্ধ হয়ে যায়। বন্যা শেষ হওয়ার পর আবার শুরু হয় শুটিং। প্রথম কয়েক পর্বের পরিচালক ছিলেন যৌথভাবে আবদুল্লাহ আল মামুন ও আল মনসুর। শেষের দিকের পর্বগুলো নির্মাণ করেন মোহাম্মদ আবু তাহের।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী মজুমদার, হুমায়ুন ফরীদি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, মুজিবুর রহমান দিলু, মামুনুর রশীদ ও সুবর্ণা মুস্তাফা প্রমুখ।