যুক্তরাজ্যের মাত্র ১২ বছর বয়সী বেনিয়ামিন আহমেদ নামে এক কিশোর দুই লাখ ৯০ হাজার পাউন্ড আয় করেছে। ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক তৈরি করে সেগুলোকে ক্রিপটোকারেন্সিতে বিক্রি করে এই অর্থের মালিক হয়ে বসে আছে বেনিয়ামিন।
সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। এতে দেখা যায়, তিমি মাছের বেশ কয়েক ধরনের ব্যতিক্রমী ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক তৈরি করে বেনিয়ামিন আহমেদ। পরে সেগুলো এনএফটি ক্রিপটোকারেন্সি এর বদলে বিক্রি করে দেয় সে। এই ক্রিপটোকারেন্সির মূল্য প্রায় দুই লাখ ৯০ হাজার পাউন্ড।
তবে ক্রিপটোকারেন্সির মূল্যের ওঠানামার সঙ্গে বেনিয়ামিনের অর্থের পরিমাণ ওঠা নামা করবে। এমনকি যে ডিজিটাল ওয়ালেটে বেনিয়ামিন ক্রিপটোকারেন্সিগুলো সংরক্ষণ করেছে সেটি হ্যাক হলে পুরো অর্থই হারাবে সে। এছাড়াও ক্রিপটোকারেন্সি লেনদেন হয় এমন মাধ্যমেই শুধু এই দুই লাখ ৯০ হাজার পাউণ্ড সমমূল্যের এনএফটি খরচ করতে পারবে বেনিয়ামিন।
জানা যায়, স্কুলের ছুটিতে থাকার সময় কোডিং করে এসব ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক তৈরি করে বেনিয়ামিন। এটা তার দ্বিতীয় ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক। দ্বিতীয় বারে বেনিয়ামিন তিমি মাছ দিয়ে বিভিন্ন ইমোজি তৈরি করে। সে তিন হাজার ৩৫০টি তিমি মাছের ইমোজি এর একটি পূর্ণাঙ্গ সেট তৈরি করে।
প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট কোডিং করে প্রায় তিন মাসে এসব ইমোজি তৈরি করেছে বেনিয়ামিন। বেনিয়ামিন জানায়, যখন কোড লিখতাম এবং ইমোজিগুলো ধীরে ধীরে আমার কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে উঠতো তখন সেগুলো দেখতে সত্যিই খুব আকর্ষণীয় ছিল।