২৬ দিনের সন্তান রেখে না ফেরার দেশে শিক্ষিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাহমিনা আক্তার ডলি (২৯) নামে এক সহকারী শিক্ষিকা মারা গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তাহমিনা আক্তার ডলি সদর ইউনিয়নরে মো. খোরশেদ আলমের মেয়ে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাহমিনা আক্তার ডলি দুই ছেলের জননী। তার স্বামী মো. মশিউর রহমান নাসিরনগর কৃষি ব্যাংকের সদর শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

শিক্ষিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট সন্তানসম্ভবা অবস্থায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তাহমিনা আক্তার ডলি। সেখানে তিনি পুত্র সন্তানের মা হন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ১১ আগস্ট ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার করলে করোনা পজিটিভ জানতে পারেন।

এর একদিন পর ১২ আগস্ট তাহমিনা আক্তার ডলি স্ট্রোক করেন। ১৫ আগস্ট ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নাসিরনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই শিক্ষিকা মারা গেছেন। কিছুদিন আগে তিনি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি করোনা ছাড়াও স্ট্রোক করেছিলেন শুনেছি। আমি তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

Leave a Reply

Translate »