আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ২০১৯ সালে অভিনেতা সৌরভের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একাধিকবার আলোচনায় উঠে এসেছেন এই তারকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব কারণে প্রায় সময়ই কটাক্ষের শিকার হন তিনি। সম্প্রতি এই বিষয়গুলো নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন মধুমিতা। এ সময় ১০টি সম্পর্ক ভাঙলেও সমস্যা নেই কিন্তু একটা বিয়ে ভাঙলেই মেয়েটা চরিত্রহীন হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অভিনেত্রী বলেন, ট্রলিং আমাকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। এ জন্য আমি ট্রল নিয়ে ভাবি না। একটা মানুষের ১০টা সম্পর্ক ভাঙতে পারে অথচ একটা বিয়ে ভাঙলেই মেয়েটা চরিত্রহীন। তখন তাকে নিয়ে অনেকরকম প্রশ্ন ওঠে। এটা তো অনেক বছর ধরে আমার সঙ্গে ঘটছে।
আরও পড়ুনঃ নয়নতারার সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে মুখ খুললেন শাহরুখ খান
তিনি আরও বলেন, আমি শাড়ি পরে ছবি তুললে লোক দেখানো আর সাহসী পোশাকে ছবি তুললে হয়ে যাই নির্লজ্জ। বাবা-ছেলে-গাধার গল্পটা এই ক্ষেত্রে আমি স্মরণ করে নিই। আসলে লোকের কথা শুনে নিজের লাইফস্টাইল বদলাতে হলে তো বাঁচা যাবে না। আমি সত্যি এসব কেয়ার করি না। আমার পরিচিত সার্কেলে লোকজন আমাকে সম্মান দিলেই চলবে।
ডিভোর্স নিয়ে সমাজের মানসিকতা এখনও বদলায়নি জানিয়ে মধুমিতা বলেন, বিয়েটা ভেঙেছে মানে মেয়েটারই দোষ। বিয়ে ভাঙার পর যদি মেয়েটা আরও বেশি স্ট্রং আর ইন্ডিপেনডেন্ট হয়ে যায়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই! লোকে ভাবে নিশ্চয় ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। এসব ভেবে বাঁচলে তো আমি ডিপ্রেশনে চলে যাব। আর আমি ডিপ্রেশনে গেলে কেউ আমার বাড়িতে এসে ভাত দিয়ে যাবে না। বরং আমাকেই খেটে খেতে হবে। ডিভোর্স নিয়ে আমাদের সমাজের মানসিকতা এখনও বদলায়নি।