আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ দুনিয়া সৃষ্টি সূচনালগ্ন থেকেই তারিখ পদ্ধতির প্রচলন। আর তারিখ পদ্ধতির মধ্যে একটি অনন্য মর্যাদাসম্পন্ন নাম হিজরি সন। হিজরতের ইতিহাস, ইবাদত-বন্দেগির দিনক্ষণ সম্পর্কিত কারণে হিজরি বর্ষ মুসলমানদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই হিজরি সনের হিসার রাখার বিধান কি?
ইসলামি শরিয়তের অনেক বিধানাবলী পালন হিজরি সন ও চন্দ্র মাসের উপর নির্ভরশীল; তাই গুরুত্বপূর্ণ এসব ইবাদত-বন্দেগির জন্য হিজরি সনের আলোকে চন্দ্র মাসের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী হিজরি সনের হিসাব রাখা সুন্নাতের অনুসরণ এবং অনুকরণও বটে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনাও এমনই।
এ কারণেই মুমিন মুসলমানের জন্য হিজরি সনের গুরুত্ব অনেক বেশি। হিজরি সনের সঙ্গে ইসলামের অনেক ইবাদত-আমলের সংশ্লিষ্ট রয়েছে। যা হিসাব না রাখলে ঐ ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয় না। এসবের অন্যতম হলো-
১. রমজান মাসব্যাপী ফরজ রোজা পালন।
২. ঈদের তারিখ নির্ধারণ।
৩. হজের তারিখ নির্ধারণ ও হজ পালন।
৪. তাকবিরে তাশরিকের দিন নির্ধারণ।
৫. কুরবানির দিন নির্ধারণ।
৬. জাকাত প্রদানে বছর গণনা বা হিসাব।
এ ছাড়াও প্র্যত্যেক আরবি মাসেই রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত ও নফল ইবাদত। যা হিজরি সনের মাসের হিসাবের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এসব ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল ইবাদত-বন্দেগি অন্যান্য বছরের হিসাব অনুযায়ী পালন করা সম্ভব নয়।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হিজরি সনের হিসাব যথাযথভারে রাখা জরুরি। যেন সবার জন্য ইসলামের সব গুরুত্বপূর্ণ ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল ইবাদত-আমলগুলো যথা সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা যায়।
যেহেতু ইসলামি শরিয়তে হিজরি সনের হিসাব রাখা ফরজে কেফায়া ও প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাহ; তাই মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেকেরই উচিত, হিজরি সনের হিসাব রাখা। হিজরি সনের হিসাব অনুযায়ী প্রতি মাসের রোজা ও অন্যান্য আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হিজরি সনের হিসাব যথাযথভাবে রেখে আমল-ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনায় দিন-মাস-বছরের হিসাব রেখে দুনিয়ার কল্যাণ ও পরকালের মুক্তির তাওফিক দান করুন। আমিন।