হঠাৎ ঘুম থেকে জাগার কারণ-প্রতিকার

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ নানা কারনে ঘুম কম হতে পারে। ঘন ঘন ঘুম না হওয়ার কারনে হতে পারে সাস্থ্যের অনেক ক্ষতি।চলুন জেনে নেওয়া যাক মাঝরাতে ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়,কারণ এবং প্রতিকার-

শোবার ঘরের সমস্যা

যেখানে ঘুমাচ্ছেন সমস্যা হয়ত সেখানেই। ঘুমের প্রথম স্তরটি হল মৃদু ঘুম যেখানে ঘুম পাতলা হয় এবং সহজেই ঘুম ভেঙে যেতে পারে। এমতাবস্থায় ঘর বেশি গরম বা ঠাণ্ডা হলে, কোনো শব্দ হলে কিংবা অজানা উৎস থেকে আলো আসলেই ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তাই রাতে নির্ভেজাল ঘুম পেতে ঘর হওয়া চাই আরামদায়ক মাত্রায় ঠাণ্ডা, নীরব এবং অন্ধকার।

অল্পতেই রেগে গেলে

রাত একটা থেকে ৩টার মধ্যে লিভারের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই সময়ে ঘুম ভাঙলে বুঝতে হবে, আপনি অল্পতেই রেগে যান। তাই ঠাণ্ডা পানি পান করুন।

মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ

রাত ১১টা থেকে একটা। এই সময়ে মানুষের শরীরের গল ব্লাডারের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এতে ধরে নেওয়া হয় আপনি মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ। তাই নিজেকে ভালোবাসতে এবং ক্ষমা করতে শিখুন। 

দুঃখ অনুভব করলে

রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে লাঙ্গসের এনার্জি মেরিডিয়ন সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে আপনি দুঃখ অনুভব করতে পারেন। এই সময়ে ঘুম ভাঙলে জোরে জোরে শ্বাস নিন। পাশাপাশি ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেকে আশাবাদী করুন।

তবে অনেক সময় কোনও কারণ ছাড়াও ঘুম ভাঙতে পারে, যাকে বলা হয় ‘স্লিপ ইনারশিয়া’। এ সময় ঘুম ভাঙলেও মানুষের মস্তিষ্ক পুরোপুরি সজাগ থাকে না।

অতিসক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থি 

শরীরের অনেকগুলো অঙ্গের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে থাইরয়েড গ্রস্থি। এই গ্রন্থি প্রয়োজনের বেশি সক্রিয় হলে তা তৈরি করবে অতিরিক্ত ‘থাইরক্সিন’ হরমোন, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যাবলী ব্যহত করতে পারে। ঘুমের সমস্যা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, অস্বস্তি, আতঙ্ক ইত্যাদি সাধারণ কিছু ঘটনা যা অতিরিক্ত ‘থাইরক্সিন’য়ের ফলাফল। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Reply

Translate »