একঝাঁক পাখি উড়ছিল আকাশে। গতি ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে। সেই ঝাঁক থেকে হঠাৎই এক পাখি দড়াম করে পড়ে গেল মাটিতে। উৎসুক মানুষ ছুটে গেল পাখিটিকে দেখতে। গ্রামের শি’শু-কি’শোররা ভিড় করলো অদ্ভুত সেই পাখিটাকে দেখতে।
কারো দাবি, বিরল প্রজাতির। কেউ কেউ এটাকে ঈগল বা শকুনও বলছেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে পাখিটার পরিচয় কেউ জানাতে পারছেন না।
গাইবান্ধা সদর থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, তরফকাল গ্রামের জমিতে বিরল প্রজাতির বড় আকৃতির পাখিটি দেখতে পান স্থানীয় জনগণ।
পাখিটি উড়তে পারছিল না। তখন এলাকাকাসী বেঁধে রেখে থা’নায় খবর দেয়। পরে সন্ধ্যায় পু’লিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাখিটিকে উ’দ্ধার করে থা’নায় নিয়ে আসে।
ওসি শাহরিয়ার আরো জানান, পাখিটির ওজন আনুমানিক ১৫ কেজি। থা’নায় নিয়ে আসার পর বেশ কয়েকটি মুরগির মাংস খাওয়ানো হয়েছে পাখিটিকে।
মঙ্গলবার পাখিটিকে গাইবান্ধা বন বিভাগে হস্তান্তর করা হচ্ছে। বিরল প্রজাতির এই পাখিটি দেখতে উৎসুক জনতা থা’নায় ভিড় জমাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের দিকে এক ঝাঁক পাখি আকাশের উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। সেই ঝাঁক থেকে হঠাৎ একটি পাখি মাটিতে পড়ে যায়। তখন গ্রামের শি’শু-কি’শোররা পাখিটি ধরে বেঁধে রাখে। পরে থা’নায় খবর দেয়া হয়।
গাইবান্ধা বন বিভাগের কর্মক’র্তা আব্দুস সবুর বলেন, পাখিটিকে দিনাজপুরের সিংরিয়া বন বিভাগের শকুন লালন পালন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।