বিরিয়ানি পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওইয়া যাবেনা । আমরা চিকেন বিরিয়ানি , বিফ ও মাটন বিরিয়ানি সব থেকে বেশি খেয়ে থাকি । তবে স্যালমন মাছের বিরিয়ানি যারা খেয়েছেন তারা নিশ্চয়ই স্বাদ জানেন আর যারা এখনো স্বাদ নেন নি তাদের জন্য আজকের রেসিপি
উপকরণ
১. রুই বা স্যালমন মাছের পেটি ৪ টুকরা
২. বাসমতি বা চিনিগুঁড়া চাল ১ কাপ
৩. ঘি বা তেল ৪ টেবিল চামচ
৪. পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ
৫. আদা বাটা ২ চা চামচ
৬. রসুন বাটা ২ চা চামচ
৭. টকদই ৪ টেবিল চামচ
৮. জায়ফল ও জয়ত্রী গুঁড়া ২ চা চামচ
৯. পোস্ত বাটা ১ চা চামচ
১০. এলাচ ৪-৫টি
১১. দারুচিনি ২ টুকরো
১২. দুধ আধা কাপ
১৩. লেবু পাতলা করে কাটা কয়েক টুকরা
১৪. বেরেস্তা আধা কাপ ও
১৫. লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী
> প্রথমে মাছের টুকরাগুলোকে তেলে হালকা লাল করে ভেজে নিন। এতে মাছের আঁশটে ভাব চলে যাবে। অন্য একটি বাটিতে টকদইয়ের সঙ্গে আদা রসুন বাটা, জায়ফল, জয়ত্রী গুঁড়া ও পোস্ত বাটা দিয়ে মেখে রাখুন।
> অন্য একটি পাত্রে চালগুলোকে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। চাল বেশি সিদ্ধ করবেন না। বেশি সেদ্ধ হলে বিরিয়ানি ঝরঝরে হবে না।
> এবার অন্য একটি প্যানে তেল বা ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি ও দারুচিনি এলাচ দিন। একদম লাল করে বেরেস্তার মতো করে ভেজে নিন। এই পেঁয়াজ এর সঙ্গে মেখে রাখা দই আর আধা কাপ দুধ মিশিয়ে দিন। এবার রান্না করুন ১০ মিনিট।
> মসলা কষানো হলে মাছের টুকরাগুলোকে দিয়ে রান্না করুন আরও ৫ মিনিট। যখন একটু লাল হয়ে আসবে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। একটি ওভেন প্রুফ বাটিতে অথবা একটি ভারি হাঁড়িতে প্রথমে কিছু ভাত ঢালুন।
> এরপর লেবুর পিস ছড়িয়ে দিন। তারপর মাছের পিসগুলো আর ঝোলটা দিন। সঙ্গে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। আবার রান্না করা ভাত দিয়ে তার উপর ফয়েল পেপার দিয়ে ভালোভাবে মুড়িয়ে নিন। এতে ভাঁপ বের হবে না।
> হাঁড়ি হলে ভালো করে ঢেকে খুবই মৃদু আঁচে দমে বসিয়ে দিন চুলায়। ভাত সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। নাড়বেন না, এতে মাছ ভেঙে যাবে। ওভেন হলে ১৮০ ডিগ্রিতে ২০ মিনিট বেক করুন।