আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সুন্নত নিয়মে নামাজ আদায় করলে মানুষের মেরুদণ্ডের নিম্নাংশের (কোমরের সঙ্গে সংযুক্ত) ব্যথা কমে বলে দাবি করেছেন একদল মার্কিন গবেষক। তাঁরা বলেছেন, প্রতিদিন পাঁচবার বিশ্বের প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মুসলিম পবিত্র নগরী মক্কার দিকে ফিরে তাদের হাঁটু ও কপাল মাটিতে নত করে। মুসলিম পরিভাষায় যাকে সালাত বলে। মুসলিমদের যেভাবে নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে, ঠিক সেভাবে নিয়মিত নামাজ আদায় করলে মেরুদণ্ডের নিম্নাংশের ব্যথা কমতে পারে। আমেরিকার বিংগহামটোন ইউনিভার্সিটি ও স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বিংগহামটোন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে নামাজবিষয়ক এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বিংগহামটোন ইউনিভার্সিটির সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান এবং ‘অ্যান অ্যার্গোনমি স্টাডি অব বডি মোশানস ডিউরিং মুসলিম প্রেয়ার ইউজিং ডিজিটাল হিউম্যান মডেলিং’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক অধ্যাপক মুহাম্মদ খুশনাভি বলেন, ‘ভেবে দেখার একটি দিক হলো, নামাজে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে ইয়োগা বা শরীরচর্চার পদ্ধতিগুলোর সঙ্গে মিল রয়েছে, যা মেরুদণ্ডের নিম্নাংশের ব্যথা কমার জন্য ব্যবহৃত হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘শারীরিক স্বাস্থ্য সামাজিক-অর্থনীতি, জীবনপ্রণালী ও ধর্মীয় বিষয়াবলি দ্বারা প্রভাবিত। এই গবেষণায় স্পষ্ট হয়েছে যে জীবনপ্রণালী ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ধর্মীয় প্রার্থনার মধ্যে জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। প্রার্থনা শারীরিক চাপ ও মানসিক উদ্বেগ কমাতে পারে। গবেষণায় এমনও দেখা গেছে, নিয়মতান্ত্রিক প্রার্থনা নিউরোমাস্কুলোস্কেলেটালের কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা হিসেবে গণ্য হতে পারে।
গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, ‘নত হওয়ার ফলে মেরুদণ্ডের নিম্নাংশে অবশ্যই চাপ সৃষ্টি হয়। তবে ব্যথা প্রশমনের জন্য হাঁটু ও মেরুদণ্ডের মধ্যে যতটা কোণ তৈরি হওয়া প্রয়োজন, তা সিজদায় পাওয়া যায়। কেননা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (এনআইওএসএইচ) মেরুদণ্ডে চাপ সৃষ্টির যে নিরাপদ সীমা নির্ধারণ করেছে, সিজদার সময় শরীর সংকোচনের ফলে তার চেয়ে কম চাপ সৃষ্টি হয়।’ তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভুল পদ্ধতি ও নড়াচড়া মেরুদণ্ডের ব্যথা বাড়াতে পারে।