বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। তার অকাল মৃত্যু যেন মানতেই পারছেন না ভক্ত-অনুরাগীরা। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বলিউডের সিস্টেমকে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর একদিন কাটতে না কাটতেই যেন বিস্ফোরণ ঘটালেন অনুরাগ কাশ্যপের ভাই অভিনব কাশ্যপ। সুশান্ত সিং রাজপুতকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে তোপ দাগেন অভিনব কাশ্যপ। শুধু তাই নয়, সুশান্তের মৃত্যুর কারণ কী, তা জানার জন্য ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক বলে সরকারের কাছে আর্জি জানান অভিনব কাশ্যপ।
প্রসঙ্গত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর দিনই তাঁর মামা সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। সুশান্তের মামার ওই দাবির পর এবার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের এই চলচ্চিত্র পরিচালক।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে বলিউডের খান পরিবারের বিরুদ্ধে কার্যত বিষোদগার করেন অভিনব কাশ্যপ। তিনি বলেন, দাবাং-এর সাফল্য়ের পর অর্থাত বছর দুয়েক আগে দাবাং পার্ট টু তৈরিতে হাত দেন। ওই সময় সলমনের খানের দুই ভাই আরবাজ খান এবং সোহেল খান তাঁর কেরিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন বলে অভিযোগ করেন অভিনব। শুধু তাই নয়, অভিনব তাঁদের কথা মতো না চললে, তাঁকে খুন করা হবে এবং পরিবারের মহিলা সদস্যদের ধর্ষণ করা হবে বলেও নাকি হুমকি দেওয়া হয় অনুরাগ কাশ্যপের ভাইকে।
অভিনব এই নিয়ে ফেসবুকে একটি লম্বা পোস্ট করেছেন।
তিনি লিখছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার এই ঘটনা আরো অনেক বড় সমস্য কে সামনে এনে দিয়েছে যে গুলোর মধ্যে দিয়ে আমরা অনেকেই যাচ্ছি। এমন কি হতে পারে যেটা মানুষকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে?” তিনি আরও বলছেন, বলিউডের বহু ট্যালেন্ট ম্যানেজার এবং ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি আসলে শিল্পীদের জন্য মৃত্যুফাঁদ।
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অভিনব লিখছেন, আমারও একই রকম অভিজ্ঞতা। প্রথমেই আমি দেখেছিলাম কিভাবে ব্যবহার করা হয় এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়।” তিনি জানিয়েছেন সালমান খান দাবাং ছবির পরে তার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। সালমান একা নন। তার ভাই সোহেল ও আরবাজ ও একই কাজ করেছেন।
পোষ্টের শেষে তিনি লিখেছেন, “এটা কোনো হুমকি নয়। এটা ওপেন চ্যালেঞ্জ। সুশান্ত সিং রাজপুত এগিয়ে গিয়েছেন এবং আমি আশা করি ও যেখানে আছে ভালো আছে। কিন্তু আমি এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করব যে আর কোনো নিরীহ প্রাণ কে যেন এভাবে শেষ হতে না হয়। তারা যেন সম্মান নিয়ে বলিউডে বেঁচে থাকতে পারেন। আমি আশা করি যারা এই একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তারা আমার এই পোস্ট শেয়ার করবেন।” অভিনব এমনকি সালমান খানকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন নেটিজেনদের কাছে।
শুধু দাবাং-এর সিক্যুয়েলই নয়, তাঁর প্রায় সমস্ত প্রজেক্টকেই নষ্ট করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন অভিনব কাশ্যপ। ওই সময় মানষিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন তিনি। ফলে তাঁর পরিবার থেকে কেরিয়ার, সবকিছুই ক্ষতি হয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন অভিনব কাশ্যপ। নিজের ফেসবুকে খান পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে সলমন খান-কে বয়কটেরও ডাক দেন অভিনব কাশ্যপ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর শোরগোল শুরু হয়েছে পেজ থ্রি-র পাতায়।