আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে বিমানবন্দরে আটকে রেখে ভারতীয়দের রোষানলে পড়েছিলেন সোমনাথ মোহান্তি নামে এক নিরাপত্তারক্ষী (সিআইএসএফ)। এত বড়মাপের অভিনেতাকে সোমনাথ কেন পাত্তা দিলেন না সে প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে সেই নিরাপত্তাকরক্ষীর ভূয়সী প্রশংসা করে লেখেন-সবখানে ‘দাবাংগিরি’ চলে না, সালমান খানকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েছেন এই অফিসার।
এরই মধ্যে ভাইরাল হয়, সালমানকে আটকের জন্য শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন সেই সিআইএসএফ সদস্য। তার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
তবে খবরটি ভিত্তিহীন জানিয়েছে মুম্বাই বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে এক টুইটবার্তায় জানানো হয়, সোমনাথকে শাস্তি দেওয়ার খবর একেবারেই ভুয়া। তিরস্কার নয়, উল্টো পুরস্কৃত হয়েছেন এই নিরাপত্তাকর্মী।
সিআইএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-দৃষ্টান্তমূলক পেশাদারিত্ব দেখানোয় সোমনাথকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তবে কী সেই পুরস্কার এ বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। মোবাইল ফোন বায়েজাপ্তের বিষয়ে জানা গেছে, তিনি যেন নিজের মোবাইল ফোন থেকে এ বিষয়ে আর কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন। সে জন্যই এমনটি করা হয়েছিল।
যেখানে দেখা গেছে, সালমান খানের সঙ্গে ছবি তুলতে বিমানবন্দরে হাজির পাপারাজ্জিরা। আর তাদের ক্যামেরার সামনে সালমান পোজ দিয়েই চলেছেন। এর পর সালমান মাস্ক বের করে মুখে লাগিয়েও ফের খুলে ফেলেন। এভাবেই বিমানবন্দরে গেটে ঢোকার সময় নিরাপত্তারক্ষী সোমনাথ সালমানকে বাধা দেন। অনেকটা বিরক্তিভরে সালমানকে ওই নিরাপত্তারক্ষী বলেন, আগে নিয়ম মানুন, তারপর এসব হবে। মাস্ক পরে ঢুকতে হবে। করোনাবিধি ঠিকমতো পালন করতে হবে। পাশাপাশি সালমানের সঙ্গে আসা লোকজন ও পাপারাজ্জিদের গেটে ভিড় জমাতে মানা করেন তিনি। সোমনাথের সেসব নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই ভেতরে প্রবেশ করেন সালমান।