আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে দারুণ বোলিং করে আলোচনায় এসেছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিবের পুরোনো কিছু পোস্ট নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এবার সেই সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় দলের পাইপলাইনে থাকা আরেক তরুণ পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
২০২০ সালে ইতিহাস গড়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা। বিশ্বকাপজয়ী সেই দলে একই সঙ্গে খেলেছেন জুনিয়র সাকিব ও মৃত্যুঞ্জয়। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে সাকিবকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন মৃত্যুঞ্জয়। যেখানে তিনি জানান, সাকিবকে অনেক কাছ থেকে দেখেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন তিনি।
আরো পড়ুনঃচালু হতে যাচ্ছে জাতীয় ডেবিট কার্ড
মৃত্যুঞ্জয় লেখেন, ‘আমি বরাবরই কিছু লিখতে চাই না এসব নিয়ে। তবে বন্ধু তানজিম হাসান সাকিব তোমার হেদায়েত আমি অনেক কাছ থেকে দেখেছি এবং তোমাকে আমি আমার বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমি সবাইকে আমার বন্ধুত্বের জায়গা দিই না। কারণ, যে আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়, সে বন্ধু হতে পারে না।
বন্ধু মনে রেখো আমরা দুনিয়ায় কোনো মানুষকে খুশি করতে আসিনি, আমরা শুধুই এসেছি আল্লাহকে খুশি করতে। তবে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।
আমরা বিশ্বাস করি, (গোটা দুনিয়ার) সব মানুষ যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়, তবে আল্লাহ তকদিরে যা লিখে রেখেছেন ততটুকু ছাড়া কেউ তার কোনো উপকার করতে পারবে না। আর সব মানুষ যদি একত্রিত হয়ে তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে তবে আল্লাহ তোমার তকদিরে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তা ব্যতিত অতিরিক্ত কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না। কেননা কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, কাগজগুলো শুকিয়ে গেছে। (তিরমিজি)
আমরা তো আমাদের দ্বিন ইসলাম প্রচার করছি এর বাইরে কিছুই না। তবে কি তারা বলতে চায় দ্বিন ছেড়ে দেও, ওল্লাহি (আল্লাহর কসম) হে আমার ভাইয়েরা তা কীভাবে সম্ভব? নিশ্চয়ই সে মূর্খ যে আখিরাতকে ছেড়ে দিয়ে দুনিয়াকে বেছে নিলো। ওল্লাহি (আল্লাহর কসম) দুনিয়ার সবকিছু মিলে আখিরাতের এক বিন্দুর সমান হবে না।
আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় ইহকালের চেয়ে পরকাল অধিক শ্রেয় ( সুরা ৯৩, আয়াত ৪.)
তারা কি বলতে চায় আমরা পর্দার আয়াত প্রচার করব না? তাদের কথায় কি আমাদের সেটা অস্বীকার করা লাগবে?
তারা মানবে না এটা তাদের বিষয়। নিশ্চয় এ বিধান মুমিনের জন্য, যারা মুমিন না তারা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে থাকুক আমাদের সঙ্গে তাদের কিসের খাতির।
কোরআন এবং সহিহ হাদিসের শত শত দলিলে মেয়েদের পর্দার কথা বলা আছে। কেউ মানুক আর না মানুক আমাদের সে বিধান মানতেই হবে, সে বিধান আমরা প্রচার করবই। তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নুরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তার নুরকে পরিপূর্ণ করবেনই যদিও কাফিররা (তা) অপছন্দ করে।’( আস সফ ৬১,আয়াত ৮)
আর তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, আর তোমরাই বিজয়ী যদি মুমিন হয়ে থাক। (আল ইমরান ১৩৯)।’