ইসলামের দৃষ্টিতে গরু-ছাগলের চামড়া খাওয়া হালাল। আমাদের দেশে গরু-ছাগলের বট খাওয়ার ব্যাপক প্রচলন আছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলায় গরুর মাথার চামড়া রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। তবে পশুর চামড়া খাওয়ার প্রচলন খুব একটা নেই। অথচ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ নানা দেশে এটি খুবই জনপ্রিয় খাবার।
গরুর আকারভেদে একটি চামড়া ১০ থেকে ৫০ কেজি ওজন হতে পারে। একটি গরুর চামড়ায় ১০ থেকে ১৫ কেজি কিংবা এর চেয়ে বেশি পরিমাণ মাংস পাওয়া যায়। এই মাংস দিয়ে হালিম, চটপটি ইত্যাদি রান্না করলে তা মজাদার হয়। আর গরম চামড়া দিয়ে ভাত ও রুটি খাওয়া আরো মজাদার।
রন্ধন প্রক্রিয়া
গরুর চামড়ার রন্ধন প্রক্রিয়াও অনেক সহজ। দেখে নিন-
* প্রথমে গরুর চামড়া এক থেকে দেড় ফুট সাইজের ছোট টুকরা করে নিতে হবে।
* এবার মেঝেতে রেখে চামড়ার উপরের অংশে গরম পানি ঢেলে সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রিলের চামচ দিয়ে আঁচড় দিন। দেখবেন খুব সহজেই চামড়ার পশমগুলো উঠে যাবে।
* লোম উঠে যাবার পর চামড়ার নিচের অংশ পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরা করতে হবে।
* এরপর ভালোভাবে ধুয়ে গরম পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। সিদ্ধ হলে, প্রয়োজনীয় মশলা দিয়ে গোশতের মত করে রান্না করতে হয়।
কতটা স্বাস্থ্যকর?
গরুর চামড়া খাদ্যমান হিসেবে একেবারে মন্দ নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর চামড়ায় ২২৫ কিলো ক্যালরি শক্তি থাকে। উপাদান হিসেবে এই ১০০ গ্রামে ৪৭ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম চর্বি, ০.০২ গ্রাম ফাইবার এবং ৪৫ গ্রাম পানি থাকে।
গরুর চামড়ার প্রোটিন সাধারণত জিলাটিন হিসেবে থাকে। জিলাটিন হাড় ও ত্বক গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদিও গরুর চামড়ায় ভিটামিন ও মিনারেল থাকে না বললেই চলে। তবে খুবই সামান্য পরিমাণ চর্বি থাকায় শরীরে কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।