আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ শুটিং সেটে প্রায় চারশত মৌমাছির কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা ও পরিচালক মিলন ভট্টাচার্য। একই সময়ে শুটিং ইউনিটের আরো একাধিক অভিনয়শিল্পী, ক্যামেরাম্যান ও ক্রু সহ ১৭ জন এই আক্রমনের শিকার হন।
‘জমিদার বাড়ি’ নামের এক ধারাবাহিক নাটকের শুটিং চলাকালীন সময়ে ঘটে এই ঘটনা। গতকাল সোমবার মানিকগঞ্জের বেথিলা জমিদার বাড়িতে শটিং করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। জমিদার বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় নাটকের শুটিং। দুটি দৃশ্যের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ মৌমাছির আক্রমণ শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। এই সময় একসঙ্গে হাজার হাজার মৌমাছির আক্রমণে লাইট, ক্যামেরা ফেলে উপস্থিত সবাই দিগবিদিকশূন্য হয়ে দৌড়াতে থাকেন।
এসময় মিলন ভট্টাচার্যের গায়ে লাল রঙের ধুতি–পাঞ্জাবি থাকায় এই অভিনেতা যেদিকেই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছেন, সেদিকেই মৌমাছি গিয়ে তাঁকে কামড়িয়েছে। এই সময় তাঁর পোশাকের ভেতর ঢুকে পড়ে শত শত মৌমাছি। একসময় তিনি আর দৌড়াতে পারেননি। রাস্তায় পড়ে যান। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে মানিকগঞ্জের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
তিনি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে বলেন, ‘আমার হাত, পা, মুখ, পুরো শরীরে মৌমাছি কামড়িয়েছে। প্রথম দিকে আমাকে একসঙ্গে কয়েক শ মৌমাছি আক্রমণ করে। আমার সারা শরীরে মৌমাছি। এমনভাবে আমাকে কামড়িয়েছে যে ওগুলো সরানোই যাচ্ছিল না। ধুতি–পাঞ্জাবির মধ্যে ঢুকে পড়েছিল মৌমাছিগুলো। পরে আমার আর তেমন কিছু মনে নেই।’
শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন শম্পা রেজা, আ খ ম হাসান, মাহমুদুল ইসলাম মিঠুসহ ১০ জন অভিনয়শিল্পী। মিলন ছাড়া অন্যরা অক্ষত আছেন। মৌমাছি আক্রমণের সময় তাঁরা শুটিং বাড়ির রূপসজ্জাকক্ষে ছিলেন।
হঠাৎ করেই মৌমাছির দল ছুটে আসায় শুটিং ইউনিটের অনেকেই ধারণা করছেন, কেউ হয়তো মৌচাকে ঢিল মেরেছেন।
জমিদার পরিবারের বর্তমান কর্মকাণ্ড নিয়েই ‘জমিদার বাড়ি’ নাটকটির গল্প। লিখেছেন টিপু আলম। বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, সুব্রত, মোমেনা চৌধুরী, রাশেদ মামুন অপু, মনোজ সেনগুপ্ত, নাদিয়া মীম, সিফাত, ইমতুসহ অনেকে।
নাটকটি প্রতি মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার তিন দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচারিত হয়। নাটকটি বেশ প্রশংসিত হওয়ায় রাত ১১টায় পুনঃপ্রচার করা হয়।