সদ্যোজাত শিশুকে কীভাবে শোয়াব, কী রকম বালিশ ব্যবহার করব, কেমন করে শোয়ালে মাথা গোল আর সুন্দর হয়—এমন নানান ভাবনা অনেকের মধ্যে রয়েছে। ঠিকভাবে না শোয়ানো হলে শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়।
পশ্চিমা দেশগুলোতে সদ্যোজাত শিশুরা মায়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমায় না, তাদের জন্য আলাদা বিছানা থাকে। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, বাচ্চারা মায়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমালে কোনো ক্ষতি নেই। বরং এতে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে অর্থাৎ হঠাৎ শরীরের তাপ কমে গিয়ে বিপদ ঘটে না। আবার মায়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমানোর ফলে বুকের দুধ খাওয়ানোও সহজ হয়।
শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন কাত বা চিত করে শোয়ানো হয়। কখনোই উপুড় করে শোয়ানো উচিত নয়। উপুড় করে শোয়ালে বাচ্চার নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, বুকেও চাপ লাগতে পারে। নির্দিষ্ট একটি দিকে কাত করে অনেকক্ষণ না রেখে মাঝেমধ্যে এপাশ-ওপাশ করে দিন। অবশ্য যদি কখনো বমি বেশি হয়, তখন বাম দিকে কাত করে শোয়ালে ভালো হয়।
অনেকেই বাচ্চাকে কোলে দুলিয়ে ঘুম পাড়ান; এতে পরে অসুবিধা হয়। কারণ এতে সে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং বিছানায় শোয়ালেই জেগে ওঠে।
শরীর খারাপ থাকলে, বিশেষ করে পেটে ব্যথা হলে শিশুদের ঘুমের সমস্যা হয়। তখন কোলে নিয়ে কাঁধে মাথা রেখে ঘুম পাড়ালে আরাম পায়। শিশুদের জন্য সবচেয়ে ভালো হলো বালিশ ছাড়া আরামদায়ক বিছানায় শোয়ানো। বালিশ ব্যবহার করলে ঘুমানোর সময় শিশুর ঘাড় ও গলা বেঁকে যায় বা ভাঁজ পড়ে, এতে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
বাচ্চার যদি ঘুমের মধ্যে নাকে শব্দ হয়, তবে বুঝতে হবে শ্বাসনালিতে বাধা তৈরি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গলায় বা নাকে কিছু আছে কি না, দেখে সেটা পরিষ্কার করে দিন। শিশুকে বিছানার যে পাশে দেয়াল আছে, সেদিকে শোয়ান।