আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ লিবিয়ায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েল’র প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
গতকাল সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কয়েকটি বাঁধ ভেঙে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহবের সব এলাকা তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে বহু মানুষ সাগরে ভেসে গেছে। ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার রেড ক্রিসেন্টের প্রধান বলেছিলেন, দেরনার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৫০ জন। এ সংখ্যা ২৫০ পর্যন্ত যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে রয়টার্স এদের কারও দাবির বিষয়েই স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
আরো পড়ুনঃ437 বছর পর পৃথিবীর সঙ্গে দেখা করতে আসছে নিশিমুরা ধূমকেতু
এদিকে দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভ্রাতৃপ্রতিম-বন্ধু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লিবিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল। তিন সদস্য বিশিষ্ট এই কাউন্সিলই সংঘাতে জর্জরিত দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে।
গত সপ্তাহে গ্রিসে তাণ্ডব চালিয়ে ঝড় ড্যানিয়েল রোববার ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে আঘাত হানে। এ ঝড়ের প্রভাবে দেরনা শহরের রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এ ছাড়া লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ উপকূলীয় এলাকায় বাড়িঘর ধসে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানায়, প্রায় ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। রাস লানুফ, জুয়েতিনা, ব্রেগা ও এস সিদরা, লিবিয়ার চারটি বড় তেল বন্দরই শনিবার সন্ধ্যা থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।