আইকোনিক ফকাস ডেস্কঃসম্প্রতি দেশে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি। কোনো মতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না তেলের বাজার। এই অবস্থায় মিল গেটে তদারকি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাদের সঙ্গে অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন। আজ বুধবার (৯ মার্চ ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিল গেটে সরেজমিন সাপ্লাই, ডেলিভারি, আমদানি ইত্যাদি বিষয়ে পাঠানো তথ্য যাচাই করা হবে।
এছাড়া সাপ্লাই অর্ডারের (এসও) মধ্যে তেলের দাম উল্লেখ থাকতে হবে। আগের যে এসও সরবরাহ করা হয়েছে তার ডেলিভারি ২৪ মার্চের মধ্যে দিতে হবে। তেল দেশের বাইরে যাচ্ছে কি না তা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে সুপারিশ করা হয়।
যদিও সরকার নানাভাবে তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেইতোমধ্যেই দেশের সব রিফাইনারি কোম্পানির কাছে ভোজ্যতেল আমদানির বিভিন্ন তথ্যও চেয়েছে সরকার। গত রোববার থেকে অভিযানে মাঠে নেমেছে সরকারের ১৪টি সংস্থার তদারকি টিম।
তেলের সরবরাহ, মজুদ, পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে সংকটের কারণ খতিয়ে দেখছেন এসব টিমের সদস্যরাসয়াবিন তেলের এই লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কঠোর মনিটর দাবি করেছেন।
ল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। তাদের প্রস্তাবে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
আর ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮৭০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েলের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়।নতুন এই দর ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়।
কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রীর দাম না বাড়ানোর এ নির্দেশের পর ওইদিন বিকালেই সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম অটোমেটিকভাবে আরেক দফা বেড়ে যায়। এর আগে সর্বশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবেই সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, তেল ব্যবসায়ী, মিল মালিকের প্রতিনিধি ও ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন।