জুভেন্টাস নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগেও পুরো 3 পয়েন্ট সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল না। জুভ সমর্থকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন যে সাসুওলো তাদের কাছ থেকে ১ পয়েন্ট ছিনিয়ে নেবে কিনা।
তবে ৮২ তম থেকে ৯২ তম মিনিটে জুভেন্টাস অ্যারন রামসে এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে ৩-১ গোলে জিতেছিল। গত রাতে সিরি আ -এর এই ম্যাচে একটি গোল করে দুর্দান্ত রেকর্ড গড়ল পর্তুগিজ তারকা।
প্রথমার্ধে জুভেন্টাসকে পরিপাটি করে ফুটবল খেলতে দেয়নি সাসসোলো। প্রথমার্ধটি গোলশূন্য শেষ হয়েছিল। তবে আক্রমণাত্মক খেলায় হারের সাথে বিরতির আগে সাসুলো দশে পরিণত হন।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার জন্য সাসসোলো মিডফিল্ডার পেদ্রো ওবিয়াংকে একটি লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল।
বিরতির পর ৫০ তম মিনিটে দুরন্ত দূরপাল্লার শট নিয়ে জুভেন্টাসকে এগিয়ে রাখেন ড্যানিলো। ৮ মিনিট পরে গ্রেগরি ডিফ্রিল দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের সাথে সাসুলোর হয়ে সমান হন।
জুভেন্টাস এর পরে দুটি পরিষ্কার সম্ভাবনা পেয়েছিল। রোনালদো একবার পেনাল্টির আবেদন করতে ব্যর্থ হন। প্রতিপক্ষ চিরিচেস তাকে বক্সে ফেলে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে, সাসুওলো আন্ড্রেয়া পিরলোর দলের আক্রমণ-মোকাবিলার অপেক্ষায় ছিলেন। ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্রান্সেসকো ক্যাপুটোর দ্বারা দূরপাল্লার শট থেকে তারা গোল করতে পারেনি।
পাওলো দিবালা বিরতির পরে জুভের দ্বারা আক্রমণ করা হয়নি। পায়ে ইনজুরির কারণে ৪৩ তম মিনিটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন আর্জেন্টাইন তারকা।
রামসে ৮২ তম মিনিটে জুভেন্টাসকে এগিয়ে রাখেন। বাম দিকের ফ্রেবোটার ক্রস থেকে ওয়েলশ মিডফিল্ডারটি টেপ করলেন। যোগ করা সময়ের ২ য় মিনিটে ড্যানিলোর দূরপাল্লার পাস থেকে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন রোনালদো।
চলতি মৌসুমে সিরি ‘আ’-তে এটি তাঁর ১৫ তম গোল। এই গোলের সাথে একটি অনন্য রেকর্ড গড়ল পর্তুগিজ তারকা।
রোনালদো সর্বশেষ ১৫ মরসুমে প্রথম খেলোয়াড় হয়েছিলেন এবং প্রতি মৌসুমে কমপক্ষে ১৫ টি গোল করেন। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের কারওরই সুনাম নেই।
২০০৬–০৭ মৌসুম থেকে এই নজির গড়া শুরু করেন ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। জয়ের পর নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে ম্যাচের কিছু ছবি পোস্ট করে রোনালদো লেখেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ আরও ৩টি পয়েন্ট। নিজে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে।’
১৭ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে এসি মিলান। তাদের সমান ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট তুলে দুইয়ে জুভেন্টাস। ১৭ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে এএস রোমা।