রক্ত দেওয়ার আগে জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃদুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার বা অন্য কোনো জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব অথবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়।

চিকিৎসকদের মতে প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ নারী-পুরুষ চাইলেই নির্দিষ্ট সময় পরপর ব্লাড দিতে পারেন। ব্লাড নেওয়ার আগে এর সঠিক পরীক্ষা জরুরি। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিকভাবে সুস্থ নারী ও পুরুষ ব্লাড দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর অন্তত ৪৫ কেজি। এ ছাড়া রক্তদানের সময় ব্লাড দাতার তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইটের নিচে এবং নাড়ির গতি ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকতে হবে। 

রক্ত

আরও পড়ুন ঃকেন হয় অ্যানিমিয়া?প্রতিকার জানুন

ব্লাড দেওয়ার সময় শরীর থেকে ২৫০-৩০০ মিলিগ্রাম আয়রন কমে যায়। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরে ৪ থেকে ৬ লিটার পরিমাণ ব্লাড থাকে। প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার ব্লাড দেওয়া হয়। এ কারণে ব্লাড দিলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই।

রক্ত দেওয়ার উপকারিতা:

দেশের বিভিন্ন ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নিয়মিত ব্লাড দেওয়ার কিছু উপকার রয়েছে। সেগুলো হলো-

১. এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।

২. নিয়মিত ব্লাড দাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

৩. বছরে তিনবার ব্লাড দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত ব্লাড স্বল্পতা পূরণ হয়।

৪. ব্লাড কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

রক্ত
Blood cells

৫. ব্লাড দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৬. শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোন রোগ আছে কি না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৮. ব্লাড দাতার যদি নিজের কখনো ব্লাডর প্রয়োজন হয় তাহলে ব্লাড ব্যাংকগুলো তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্লাডর ব্যবস্থা করে দেয়।

Leave a Reply

Translate »