আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আয়ুজুবিলা্লাহ হিমিনাস সাইতুয়ানির রাজিম, বিসমিল্লাহ হিররাহ মানির রাহিম। আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহ।রাসুল (সঃ) বলেছেন হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, যে আল্লাহর নিকট কিছু চায় না, আল্লাহ তায়াল তার উপর রাগ করেন। এ হাদিস শরীফে শুধু চাওয়া ও অন্তরের গভীর থেকে চাওয়া উভয়ই কথঅয় শামিল। সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ কত দয়াবান। মানুষের নিকট কিছু চাইলে মানুষ রাগ করে। আর আল্লাহর নিকট না চােইলে আল্লাহ রাগ করেন। হাদিসে কুতসিতে আছে, হুযুর পাক (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি যখন বান্দাকে ভালেঅবাসি, তখন তার কান হয়ে যাই, যা দ্বারা সে শুনে। আর চোখ হয়ে যাই, যা দ্বারা সে দেখে। তার হাত হয়ে যাই, যা দ্বারা সে ধরে। তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। অর্থাৎ বান্দার প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আমার খেঅদায়ী শক্তি এসে যায়। ফলে বান্দা যা করতে ইচ্ছা করে সব কিছুই আমার দেয়া মতাবলে করতে সক্ষম হয়। যদি সে আমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে আমি তাকে অবশ্যই সাহায্য করি। সুবাহান আল্লাহ। উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমানিত হয় যে, আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের দোয়া আল্লাহ পাকের দরবারে অবশ্যই গৃহীত হয়।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ধরনের দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে না। এক. মজলুম বা নিপীড়িত ব্যাক্তির দোয়া। দুই. মুসাফিরের দোয়া। তিন. সন্তানের জন্য পিতার দোয়া। (জামে তিরমিজি)
রোজাদারদের দোয়া যখন সে ইফতার করে। ন্যায় বিচারক শাসকের দোয়া এবং অত্যাচারিতের দোয়া। যার উপর নিপীড়ন নির্যাতন করা হয়েছে অন্যায় ভাবে। তার দোয়াকে আল্লাহ মেঘের উপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং পরওয়ারদিগারে আলম বলেন- আমার ইজ্জতের সম্মানের কসম, আমি নিশ্চয়ই তোমাকে সাহায্য করবো। যদিও কিছু সময় পরে হয়।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তিনটি দোয়া কবুল হয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পিতার দোয়া, মুসাফিরের দোয়া ও নিপীড়িতের দোয়া। রাসুল (সাঃ) এর উদ্রিতি অনুযায়ী অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তাদের দোয়া আল্লাহ পাক কখনই ফিরিয়ে দেন না।
হাদিসে রাসুলের (সা.) প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৬ শ্রেণীর মানুষ এমন রয়েছেন, যাদের দোয়া আল্লাহ কখনই ফেরত দেন না অর্থ্যাৎ তাদের দোয়া কবুল হয়। আপনি কি জানেন, সেই ৬ শ্রেণীর মানুষ করা? জেনে না থাকলে চলুন এখনই জেনে নেই…
১. অসুস্থ ব্যাক্তির দোয়া : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, যদি তুমি কোনো অসুস্থ ব্যাক্তিকে দেখতে যাও তখন তাকে বলো তোমার জন্য দোয়া করতে। কারণ অসুস্থ ব্যাক্তির দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মতোই কার্যকর হয় বা কবুল হয়। সুবাহান আল্লাহ। (সুনানে ইবনে মাজাহ) শুধূ তাই নয়, রোগী দেখার বিষয়ে হাদীসে এসেছে, হযরত আলী (রাঃ) বর্ণণা করেন, আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকেল পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে।
আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করে।– সুনানে তিরমিজি: ৯৬৭ নম্বর হাদিস।
তবে রোগীকে দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সুন্নাত রয়েছে। যা দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে আরো সহযোগী; ১, অজু সহকারে রোগী দেখতে যাওয়া। এ মর্মে হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণণা করেছেন, রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছে, যে ব্যক্তি উত্তম রূপে অজু করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়। তাকে জাহান্নাম থেকে ৬০ বছরের পথ দূরে রাখা হবে। সুবহান আল্লাহ।রোগীর অবস্থা বুঝে শরীরে হাত রেখে রোগের কথা জিজ্ঞাসা করা। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, শুশ্রুষার পূর্ণতা গলো- রোগীর কপালে বা শরীরে হাত রেখে জিজ্ঞাসা করা, আপনি কেমন আছেন?রোগীর সামনে এমন কথা বলা যাতে সে সান্তনা লাভ করে। রাসুল (সাঃ) কোনো রোগীকে দেখতে গেলে বলতেন, সান্তনামূলক কথা, বিভিন্ন হাদিসি কথা বর্ণনা করতেন। যেমনটি আপনি করতে পারেন। আপনার বন্ধুর অসুস্থ অবস্থায় গিয়ে তার মাথার সিকলে বসে বলতে পারেন, হে ভাই বা বন্ধু তুমিকি জানো প্রতিটি রোগের জন্য আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন মানুষের গুণঅহ ক্ষমা করে দেন। এমনকি পায়ে একটা কাটা বিনলেও মানুষের গুণাহ ক্ষা হয়ে যায়। সুবাহান আল্লাহ! তুমি অসুস্থ হয়েছো আল্লাহ পাক তোমার গুণাহ ক্ষমা করে দিচ্ছেন।
দেখুন একটি হাদিস তার অন্তরে কতোটা সাড়া জোগাবে। আর বিনিময়ে আপনি আল্লাহ পাকের দরবারে এমন একজন মানুষ হয়ে যাবেন, ঠিক যেন একজন ফেরেস্তার মত। যাদের দোয়া আল্লাহ পাকের দরবারে সাথে সাথে কবুল হয়ে যায়।
রোগীর কাছে বেশি সময় ক্ষেপন না করা। রোগী দেখার উত্তম পন্থা হলো- তাড়াতাড়ি ফিরে আসা। আপনি চাইলে তার জন্য কিছু ফল নিয়ে যেতে পারেন। অথবা আপনি রোগ বুঝে তার জন্য এমন কিছূ খাবার নিতে পারেন, যা তার জন্য অবশ্যই উপসর্গ মূলক হতে পারে। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, রোগী যদি কিছু খেতে চায়, তবে তাকে খেতে দেওয়া উচিৎ। রোগীর সামনে উচ্চ আওয়াজে কথঅ না বলা। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, সুন্নত হলো- রোগীর পাশে কম সময় বসা এবং নিচু আওয়াজে কথা বলা। রোগীর জন্য দোয়া করা। বিভিন্ন দোয়া হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সাঃ) বলেন, কোনো রোগীর কাছে গিয়ে নিম্নের দোয়াটি সাতবার পাঠ করলে মৃত্যুরোগ ছাড়া সব রোগ থেকে সে সুস্থ হয়ে উঠবে- ইনশাআল্লাহ। দোয়াটি হলো- আসআলুল লাহাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিম, আই ইয়াশফিয়াকা। আবু দাউদ: ৩১০৬ নং হাদিস। রোগীর কাছে নিজের জন্য দোয়া চাওয়া। রাসুল (সাঃ) বলেন, তোমরা রোগী দেখতে গেলে তার কাছে নিজের জন্য দোয়া চাও। কেননা তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার সমতুল্য। সুবাহান আল্লাহ। আপনি রোগী দেখতে গেলে তাকে যেকোনো মূল্যে খুশি রাখুন। তার জন্য খাবার নিয়ে যান। তার জন্য দোয়া করুন। আর ফিরে আসার সময় অবশ্যই ছোট্ট করে বলুন, যে ভাই আপনি আমার জন্য একটু দোয়া করুন। সুবাহান আল্লাহ! রাসুল পাক (সাঃ) গ্যারান্টি দিয়েছেন, একজন রোগী কোনো সাধারন মানুষের জন্য দোয়া করা ঠিক তেমনি, যেমন একজন ফেরেস্তার দোয়া। ফেরেস্তার দোয়া যেমন আল্লাহ পাকের দরবারে সাথে সাথে কবুল হয়। একজন রোগীর দোয়াও সাথে সাথে কবুল হয়ে যায়। যাই হোক সংক্ষেপে আমরা বাকি ৫ শ্রেণির মানুষ, যাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন তাদের বর্ণনা গুলো যেনে নেই।
২. রোজাদার ব্যক্তির দোয়া : রোজাদার ব্যক্তির দোয়া জাদুর মতো কাজ করে। অনেক উলামায়ে কেরাম ইবাদাত ও দোয়া করার জন্য রোজার রাখার মুহূর্তকে সোনালী মুহুর্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। হজরত ওমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, যখন রোজাদার ব্যাক্তি ইফতার করে তখন তার দোয়া ফেরত দেয়া হয় না। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
৩. সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দোয়া : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ধরনের দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে না। এক. মজলুম বা নিপীড়িত ব্যাক্তির দোয়া। দুই. মুসাফিরের দোয়া। তিন. সন্তানের জন্য পিতার দোয়া। সুতরাং, পিতা মাতা তার সন্তানের জন্য খুশি হয়ে দোয়া করলে সে দোয়া অবশ্যই আল্লাহ পাকের দরবারে কবুল হবেই।
৪. কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার জন্য অপর ব্যাক্তির দোয়া : কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার জন্য অপর একজন দোয়া করলে সেই দোয়া আল্লাহর কাছে পৌঁছার আগেই আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন। উম্মু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার মনিব (স্বামী) আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ভাই এর অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করে, তার জন্য একজন নিয়োজিত ফিরিশতা আমীন বলতে থাকে এবং বলে, তোমার জন্যও অনুরূপ। (সহিহ মুসলিম) সুতরাং কোনো ভাইয়ের কল্যানের জন্য যদি আপনি দোয়া করেন আপনার জন্য আরেকজন ফেরেস্তা দোয়া করতে থাকবে। আল্লাহ হুয়াকবার। আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি অপর মুসলমান ভাইদের জন্য দোয়া করার তাউফিক দান করুন। আর মনে রাখবেন অন্য মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করার ক্ষেত্রে মনে কোন কংকিরনতা রাখবেন না। আল্লাহ তাকে অর্থ সম্পদ দিন দুনিয়ায় সকল কিছূতে কল্যান দান করুক এই রকম মন থেকে উদার ভাবে তার জন্য দোয়া করবেন এবং আল্লাহ আপনার জন্য ঠিক অনুরূপ দোয়াই অরেকজন ফেরেস্তার মাধ্যমে কবুল করে নিবেন। সুবাহান আল্লাহ।
৫. মজলুম বা নিপীড়িত ব্যাক্তির দোয়া : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা মজলুমকে জালেমের বিরুদ্বে সাহায্য করো। (জামে তিরমিজি)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ধরনের দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে না। এক. মজলুম বা নিপীড়িত ব্যাক্তির দোয়া। দুই. মুসাফিরের দোয়া। তিন. সন্তানের জন্য পিতার দোয়া। (জামে তিরমিজি)
৬. মুসাফির ব্যক্তির দোয়া : হাদীস শরীফে আছে, যা কিছুক্ষন আগে হাদিসের বর্ণনা উদ্রিত দিয়েছি। যখন কোনো ব্যাক্তি সফরে থাকে তখন তার দোয়া কবুল হয়। প্রক্রিত পক্ষে মুসাফির তিনি যিনি ৪৮ মাইল অতিক্রমের লক্ষে বাসা থেকে বের হয়। নিজ বাড়ি থেকে বের হলে মানুষ অনেকখানি অসহায়াত্ত অনুভব করে। একজন ব্যক্তি অসহায় অবস্থায় যেখানে থাকেন, সেখানে তিনি সর্বোত্তম ব্যবহারের হকদার। তার সাথে উত্তম আচরণ করা হলে, তার সন্তোষটির প্রকাশ বা দোয়া আল্লাহ কবুল করেন।
সুতরাং কখনো যদি কোন মুসলিম মুসাফির ভাই দেখি অসহায় অবস্থায় আছে, অবশ্যই অবশ্যই আমরা তার সাহায্য করার চেষ্টা করব। তাকে অর্থদিয়ে হোক, খাদ্য দিয়ে হোক, আশ্রয় দিয়ে হোক তার সাহায্য করব। মনে রাখবেন কোনো মুসাফির যদি অপনার জন্য জ্ঞাপন করে দোয়া করে, আল্লাহ হুয়াকবার। আপনি অবশ্যই অবশ্যই সে দোয়ার ফলপ্রোসু ফলাফল ভেঅগ করবেন, ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষ বলতে চাই ওমর বিন খাত্তার (রা.) আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- রাসুল (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয় দোয়া আসমান ও জমিনের মধ্যস্থানে ঝুলন্ত থাকে। তা কোন অংশ আসমানে উত্থিত হয় না। যতক্ষণপর্যন্ত তুমি তোমার নবীর উপরে দরূদশরীফ না পড়।
দোয়া কবুল না হওয়ার কারণঃ দোয়া করারপূর্বে তাওবা করে পাপ মুক্ত হয়ে নেবে। দেখা যায় যে প্রায় ক্ষেত্রে মানুষের দোয়া কবুল হয় না। এর কারণ হলো, পূর্ণাঙ্গভাবে সর্বান্তকরণে দোয়া হয় না। বরং অস্পষ্টতা ও অন্যমনষ্কতার সাথে দোয়া করা হয়েছে। কিংবা দোয়া কারীর অন্তর পাপান্ধকারে আচ্ছন্ন ছিলো।
হযরত কাবুল আহবার (রাঃ) আনহু বর্ণনা করেছেন, এক সময় বনি ইসরাইলের লোকদের মাঝে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। তখন আলইহিস সালঅম তার উম্মতদেরকে নিয়ে ময়দানে সমবেত হয়ে পরপর তিনবার বৃষ্টিপাতের জন্যআল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। কিন্তু এক ফোঁটা বৃষ্টিপাতও হল না। শেষ পর্যন্ত ওহি নাযিল হলো, হে মুসা আলাইহিস সালাম তোমার লোকদের মাঝে পরনিন্দাকারী একটি লোক রয়েছে। সে ব্যক্তি তোমাদের দলের মাঝে থাকা পর্যন্ত তোমার দোয়া কবুল হবে না।
হযরত মুসা (আঃ) বললেন, হে প্রভু! সে কোন ব্যক্তি বলে দিন, তাকে বের করে দেই। ওহি নাযিল হল- আমি পরনিন্দা করতে নিষেধ করেছি। এখন কিভাবে নিজেই পরনিন্দা করবো। আল্লাহ হুয়াকবার। তার মানে আল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি পরনিন্দা করে আমি যদি সেই গুণাহগারের পরিচয় ফাঁশ করে দেই তাহলে তো আমি নিজেই পর নিন্দারকারী হয়ে যাবো। সুবাহান আল্লাহ! আল্লাহ পাকের কৌশল আল্লাহ পাকের ভাষা শৈলী কত উন্নত হতে পারে। তখন হযরত মুসা (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের পরনিন্দা করা থেকে তাওবা করার নির্দেশ দিলেন।
তখন সবাই অন্তর থেকে কেঁদে তাওবা করল। সাথে সাথেই বৃষ্টিপাত শুরা হয়ে গেল। আল্লাহ হুয়াকবার। দোয় কবুল না হওয়ার কোনো কারন নেই।
হারাম মাল বন্টণ করা বন্ধ করে দিতে হবে। খাস করে আল্লাহপাক এর দরবারে দুই চোখের পানি ফেলে কেঁদে কেঁদে নিজের গুণাহের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অতঃপর দুই হাত তুলে চোখের পানি ছেড়ে যাই চাইনা কেনো, অবশ্যই আল্লাহ পাক আমাদের দোয়া কবুল করবেন ই। ইনশাআল্লাহ।