আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ মিষ্টি খাবারের কথা শুনলেই অনেকে ভাবেন সেটি অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু এ রকম ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে পারে কিছু মিষ্টি খাবার। কিছু মিষ্টি খাবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবেও কাজ করতে পারে। যেমনঃ
কিছু মিষ্টি খাবার আমাদের শরীরে পুষ্টি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। এ বিষয়ে মুসাত্তো বলেন, মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হলে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- কোকোয়া, ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ পিনাট বাটার, শস্য, আঁশসমৃদ্ধ বাদাম, পুষ্টিকর খেজুর খাওয়া যায়। এগুলো মিষ্টি খাবারের চাহিদার পাশাপাশি পুষ্টি যোগাতেও সহায়তা করে।
আইসক্রিম বা মিষ্টি বিস্কুট মানেই যে সেটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে এমনটি নয়। উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ আইসক্রিম ও বিস্কুট ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি মিষ্টি খাবারের চাহিদাও পূরণ করে।
ডার্ক চকলেট হচ্ছে আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বিসমৃদ্ধ খাবার। তাই এটি ক্ষুধা কমায় বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ম্যাকেঞ্জি বারগেস।
এই খাবারটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোকোয়ার পরিমাণ বেশি হওয়া উপকারী। কারণ এতে চিনির পরিমাণ কম ও আঁশের পরিমাণ বেশি থাকে। কাঠ বাদাম বা দইয়ের সঙ্গে পছন্দের ডার্ক চকলেট খাওয়া বাড়তি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে’।
বারগেস স্বাস্থ্যকরভাবে কেক বানানোর পদ্ধতিও জানান। তিনি বলেন, পিনাট বাটার, চকলেট চিপস ও কলা দিয়ে প্রোটিন কেক তৈরি করা যেতে পারে। আর এর সঙ্গে প্রোটিন পাউডার, ভ্যানিলা, নারিকেল বা ডার্ক চকলেট যোগ করে স্বাদ বাড়ানো যায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রিচি-লি হটজ বলেন, ‘কম ক্যালরির হুইপড ক্রিমের সঙ্গে ফল যেমন- আঙুর ও কাঠ বাদাম মিশিয়ে ওপরে ডার্ক চকলেট, টকদই বা সামান্য মধু দিয়ে খাওয়া উপকারী।
বেরিজাতীয় খাবার খাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ টালিয়া সিগাল ফিডলার বলেন, ‘বেরি খাবারে স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়ায় এবং এর প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ইনস্যুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। এ ছাড়া অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে বেরি কার্যকর’।
তাই আপনার মিষ্টি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা মেটাতে পারে এগুলো।
বাদাম ও আপেল খাওয়ার বিষয়ে ‘নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি’-এর পুষ্টিবিষয়ক অধ্যাপক এবং ‘ফাইনালি ফুল, ফাইনালি স্লিম’ বইয়ের লেখক লিসা ইয়ং বলেন, ‘আপেল বেইক করে এর সঙ্গে আখরোট মিশিয়ে খেতে পারেন। আপেল আঁশ ও বাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বিসমৃদ্ধ খাবার।