আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত-বছরজুড়েই চাই ঝলমলে সুন্দর চুল। ঋতুভেদে চুলের বিশেষ যত্ন থাকলেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয় সব সময়। যাকে বলে বেসিক হেয়ার কেয়ার বা চুলের সাধারণ যত্ন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী সেই চর্চা, যা বছরজুড়েই সুন্দর রাখবে চুল।
একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ হচ্ছে, তেলে চুল তাজা। অর্থাৎ চুল সতেজ রাখতে তেলের বিকল্প নেই বললেই চলে। নারকেল তেলের উপযুক্ত ম্যাসাজ চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এবং চুল পরিষ্কার রাখা ও সুন্দর দেখাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। কত সময়ের জন্য চুলে তেল দিয়ে রাখতে হবে, তা নির্ভর করে চুলের ধরন ও চাহিদার ওপর। যেমন শুষ্ক ও রুক্ষ চুলে সারা রাত তেল দিয়ে রেখে দিতে হয়। তৈলাক্ত চুলে গোসলের আগে ১ বা ২ ঘণ্টা তেল দিয়ে রাখলেই প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো ফলের জন্য চুলে সপ্তাহে অন্তত তিনবার নারকেল তেল দেওয়া উচিত। নারকেল তেলের ম্যাসাজ চুলের সব সমস্যা নিরাময় করার নিশ্চিত উপায়।
চুল রুক্ষ হবেই। এই সমস্যার সমাধানে নিয়মিত চুলে ভালো ও নিরাপদ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। বাতাসে আর্দ্রতার কারণে স্ক্যাল্প অনেক ঘাম এবং অতিরিক্ত তেল নির্গমন করে। ফলে স্ক্যাল্পে বেশি ধুলো-ময়লা জমে। তাই নিয়মিত মাইল্ড শ্যাম্পুর ব্যবহার চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখার একমাত্র উপায়। প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার চুলের পুষ্টি ও আর্দ্রতা অক্ষুণ্ন রেখে চুলকে করে মজবুত।
সম্ভব হলে খোলা বাতাসে চুল শুকান। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে শুকানোর আগে চুল ধুয়ে নিন। সাধারণ তোয়ালে ব্যবহার না করে মাইক্রোফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করুন। কারণ এটি দ্রুত পানি শুষে নেয়। যেকোনো পরিস্থিতিতেই ড্রাইয়ার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যদি খুব তাড়াহুড়োর মধ্যে ড্রাইয়ারের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে ওঠে, তাহলে সব থেকে কম হিট ব্যবহার করুন।
চুল প্রতিদিন শ্যাম্পু না করে মাঝে মাঝে সুন্দর স্কার্ফ অথবা হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে ঢেকে ফেলুন। আর প্রতিদিন চুল নজরকাড়া সুন্দর দেখাবে, তা-ও বেশ দুঃসাধ্য ব্যাপার। চুলের অ্যাকসেসরিজ বাতাসের মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতা থেকে চুলকে রক্ষা করার পাশাপাশি স্টাইল স্টেটমেন্টও পরিবর্তন আনবে।