আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সরকারি গোপন নথি ফাঁসের মামলায় (সাইফার মামলা) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) কর্মকর্তারা আদালতে ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
চার্জশিটে এই দুইজনের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৫ ও ৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী এই অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীর শাস্তি মৃতুদণ্ড অথবা ১৪ বছরের জেল হওয়ার বিধান রয়েছে।
এই মামলায় ইমরান খান ও মাহমুদ কোরেশি ছাড়াও সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
আরো পড়ুনঃঈদে মিলাদুন্নবির মিছিলে বোমা হামলায় নিহত ৫২
এদিকে তদন্ত সংস্থা এই মামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনকে সাক্ষী করেছে। ইতোমধ্যেই মামলার প্রধান সাক্ষী আজম খান বিশ্বকপজয়ী এই অধিনায়কের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
আজমের দাবি, ইমরান খান পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরানোর জন্যই গোপন নথির বিষয়টিকে সামনে এনেছিলেন।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইমরান খান তাকে বলেছিলেন জনসাধারণের সামনে সেই গোপন নথিটি প্রকাশ করবেন। নথিটি আজম খান নিজেই দিয়েছিলেন ইমরান খানকে। পরবর্তিতে নথিটি ফেরত চাইলে ইমরান সেটি দিতে অস্বীকৃতি জানান।