বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার বিচ্ছেদ হয়েছে এক বছর বেশি হয়েছে । বিচ্ছেদের পর নতুন সংসার শুরু করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে নিয়ে।
তাহসানের অধ্যায় শেষ হয়েছে। তারপরেও সৃজিত-মিথিলার জীবনে ঘুরেফিরেই আসছে তাহসানের নাম। সৃজিত-মিথিলা কিছুতেই এড়াতে পারছেন না তাহসান প্রসঙ্গ। তবে এ নিয়ে বিব্রত নন মিথিলার নতুন সঙ্গী সৃজিত। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।
সম্প্রতি ঢাকার একটি হোটেলে এক সাক্ষাৎকারে তাহসানকে ভীষণ পছন্দ করেন বলে জানান তিনি। টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক বলেন, সত্যিই তাহসান আমার থেকে অনেক গুণী মানুষ। এত সুন্দর গান, এত সুন্দর পিয়ানো বাজান, এত সুন্দর ছবিতে অভিনয় করেন। ডেফিনেটলি আমি খুবই লাকি যে এ রকম একটা কম্পারিজন উঠেছে, সেখানে তাহসান আবার রিপ্লাইও দিয়েছেন।
‘আমাকে বলতেই হবে যে, তাহসান একজন নিপাট ভদ্রলোক। ওনার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। এই পরশু দিনই আমাদের দেখা হলো যখন তাহসান এসেছিলেন আইরাকে (তাহসান-মিথিলার মেয়ে) নিয়ে বেড়াতে যেতে। তো খুব কথা হলো, আড্ডাও হলো। আমার এত ভালো লাগল।’
সৃজিত বলেন, মিথিলা এবং তাহসানের ভালো মানুষ হওয়ার ফসলই বোধহয় আয়রা। আমি জানি না এই সম্পর্কটা বাংলাদেশের মানুষ বুঝবেন নাকি বুঝবেন না। তবে আমি সত্যিই তাহসানকে খুব পছন্দ করি। মিথিলা-তাহসানের মেয়ে আইরাও সৃজিতকে মেনে নিয়েছেন। সৃজিত-মিথিলা চান না আয়রা ব্রোকেন ফ্যামিলির কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে বেড়ে উঠুক। সৃজিত মিথিলার মেয়েকে নিজের সন্তানই মনে করেন।
আর সৃজিতকে ‘বু’ বলে ডাকেন ছোট্ট আয়রা। তাদের দুজনের সম্পর্ক টম অ্যান্ড জেরির মতো বলেও জানালেন অভিনেত্রী মিথিলা। স্বামী সৃজিত ও মেয়ে আইরার মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে ঢাকার এক গণমাধ্যমকে তিনি এমন তথ্য দিলেন। মিথিলা বলেন, তাদের মধ্যে এই খুনসুঁটি, এই আবার দারুণ ভাব। যখন খুব মন–কষাকষি চলে বা আবদার করে কিছু পাওয়া যায় না, তখন আইরার কাছে সৃজিত শুধুই সৃজিত।
তার মতে, কিন্তু যখন সৃজিতের ফোনটা আয়রার চাই, তখন খুব ভাব, তখন আয়রার কাছে সৃজিত হয়ে যায় ‘বু’। বু ডাকটা এসেছে আব্বু থেকে, ভেঙে বুঝিয়ে দিলেন সৃজিত।
গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিয়ে করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও বাংলাদেশের অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। এই বিয়ে তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে মিথিলার বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট। তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। মিথিলা-সৃজিতের পরিচয় হয় অর্ণবের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজের মাধ্যমে। সেখানে থেকেই বন্ধুত্ব, তার পর প্রেম।