সুস্মিতার বড় মেয়ে রিনি সেন করোনার সময়ে বলিউডে পা রাখলেন। অন্যান্য স্টারকিডসের মতো বড় ব্যানার না হলেও কবির খুরানা রেনির প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুত্তাবাজি’ এর পরিচালক। রবিবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। রিনি তার ইনস্টাগ্রাম পেজে ছবির পোস্টারটি ভাগ করেছেন। আর সেই সিনেমাটি নিয়েই মা সুস্মিতা সেনের দেওয়া নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি গণমাধ্যমকে একটি সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় রিনির কথায় উঠে এসেছে। রিনি বলেছিলেন যে অভিনয় শুরু করার আগে তার মা তাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে নিজের যোগ্যতা নিয়ে চাকরি পাওয়ার পরামর্শটি তাঁর পছন্দ হয়েছিল।সুস্মিতা মেয়েকে বলেছিলেন, “আপনি যা কিছু করেন এবং যা কিছু করেন না কেন আপনি যোগ্যতা অর্জন করলেই তা করবেন” ” অন্যথায় না। আপনি যদি সুস্মিতা সেনের কন্যা হয়ে চাকরি পান তবে আপনার মানের প্রশংসা হবে না। আপনি এইভাবে যা কিছু করুন না কেন, অন্য কারও সুযোগটি নেবেন না।
রিনি ৫ সেপ্টেম্বর ২১ পৌঁছেছেন। তবে দুই বছর বয়স থেকেই তিনি অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। তাঁর মা সুস্মিতা সেন তাঁর রোল মডেল। এমনকি মা ও কন্যাদেরও প্রায়শই একসাথে কাজ করতে দেখা যায়।
অভিনয়ের বিষয়ে রিনি বলেছিলেন, “আমি অভিনয় করতে কখনই দ্বিধা করি না। তবে, ‘সুততাবাজি’র চাকরির সুযোগ হঠাৎ করেই আসে। কবির আমার স্কুলের বন্ধু। দীর্ঘদিন পর হঠাৎ তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। গল্পটি শোনামাত্রই আমি তাকে বলেছিলাম আমার অভিনয় করার ইচ্ছা সম্পর্কে। এমনটি নয় যে আমি তাঁর কাছ থেকে একটি চিত্রনাট্য পাওয়ার আশা করছিলাম ” কবির পুরষ্কার প্রায় রেনির সমান বয়স। ভিমসাইনের নাতি, ভারতীয় অ্যানিমেশনের প্রবর্তক। তিনি ইতিমধ্যে তাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ৩০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক মনোনয়ন পেয়েছেন। ৮ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জিতেছে। এই কবির পরিচালিত ‘সুত্তাবাজি’ ছবিতে রিনি আধুনিক কিশোরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। একমাত্র সমস্যাটি আপনার নিজের বাড়িতে ধূমপান করতে সক্ষম হচ্ছে না। কারণ, সে তার বাবা-মায়ের চোখকে মোটেও বোকা বানাতে পারে না। গল্পটি সেই সমস্যাটিকে কেন্দ্র করে একের পর এক ইস্যুতে আবর্তিত হয়।