আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আরটিভি আয়োজন করেছে তরুণদের জন্য সংগীতবিষয়ক নতুন রিয়েলিটি শো ড্যানিশ প্রেজেন্টস ‘ইয়াং স্টার’। শীতের আমেজে জমে উঠেছে গানের এই আয়োজন। একটি মঞ্চে যেমন সুখের ঘটনা ঘটে, তেমনি অনেক কষ্টের স্মৃতিও থেকে যায়। ইয়াং স্টারের মঞ্চে মেয়েকে নিয়ে নিজের জীবনের লড়াইয়ের গল্প শুনিয়েছেন নীলফামারীর প্রতিযোগী রেশমার মা। তাদের মা-মেয়ের জীবন সংগ্রামের করুণ গল্প উপস্থিত সবার এবং দর্শকদের চোখ নোনা জলে ভরিয়ে দিয়েছে।
মায়ের শাড়ি কেটে জামা বানিয়ে ইয়াং স্টারের মঞ্চে গাইতে এসেছেন রেশমা। নীলফামারী থেকে ঢাকায় তাদের জার্নিটাও কম কষ্টের নয়। রাজধানীতে তাদের থাকার জায়গা নেই। নীলফামারী থেকে ঢাকায় পৌঁছে সকালে ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনে বসে থাকেন মা-মেয়ে। সেখান থেকে অডিশনের জন্য স্টুডিওতে আসেন। স্টুডিও খোলার আগ পর্যন্ত সামনের ফুটপাতেই বসে থাকেন তারা।
ছোটবেলায় মারা যায় রেশমার বাবা। মেয়েকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তার মা। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। মেয়েকে সুন্দর জীবন দিতে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করছেন। তাদের সংগ্রামের রয়েছে অনেক গল্প। ইয়াং স্টারের মঞ্চে রেশমাকে দেখে নিজেকে সার্থক ভাবছেন মা।
রেশমার গান শেষে তার মাকে মঞ্চে ডেকে নেন উপস্থাপকরা। মঞ্চে এসে তিনি বলেন, ‘আমাদের মা-মেয়ের স্ট্রাগল একধাপ এগিয়ে এসেছি। আমার মেয়ে যখন কেজি শ্রেণিতে ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে সেসময় ওর বাবা বাস দুর্ঘটনায় মারা গেছে। যদিও নার্সারির শেষে আমি ওকে গানের শিক্ষকের কাছে দিয়েছিলাম কিন্তু ওর বাবার মৃত্যুর পর আর্থিক সংকটের কারণে আমি সেটা চালিয়ে যেতে পারিনি।