সম্প্রতি বিশ্বে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে দৈনিক সংক্রমণের সব রেকর্ড ভেঙেই চলছে। এদিকে এত সবের মধ্যে গোটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা বাতিল মাস্ক দিয়ে বিয়ের গাউন তৈরি করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার টম সিলভারউড!
করোনাভাইরাসের বিপর্যস্ত বিশ্বে মাস্ক, পিপিই কিট এর ব্যবহার যেমন বেড়েছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এ সংক্রান্ত বর্জ্যও। ফেলে দেওয়া মাস্ক, পিপিই কিট নিয়ে কী করা হবে, তাই নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। যদি কোনও ভাবে সেগুলিকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে মন্দ কী?
বিবাহ বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হিচড’-এর সহযোগিতায় বিশেষ এই গাউনটি তৈরি করেছেন টম সিলভারউড। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০০ টি বাতিল মাস্ক। তবে টমের উদ্দেশ্য শুধু পোশাক তৈরি নয়। এর মাধ্যমে সবাইকে বিশেষ বার্তাও দিতে চেয়েছেন তিনি। গাউন তৈরির পর এটি বেশি আলোচনায় আসে যখন মডেল জেমিমা হেমব্রো ওই গাউনটি পড়েন ফটোশুট করেন। তাও আবার লন্ডনের সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের সামনে।
সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ কোভিড আতঙ্কে সব সময় মাস্ক পড়ে থাকছে। এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকায় প্রথমেই আছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। প্রতিদিন নষ্টও হচ্ছে প্রচুর মাস্ক। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা বাতিল মাস্ক দিয়ে বিয়ের গাউন তৈরি করেছন ফ্যাশন ডিজাইনার টম সিলভারউড!
এ বিষয়ে বিয়ে বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হিচড’-এর পক্ষ থেকে সারা অ্যালার্ড বলেন, ‘ধীরে ধীরে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরছি। বিধিনিষেধ কমছে। এবার বিয়ের স্বাভাবিক অনুষ্ঠান হতে পারে। সেই সাথে আনন্দ হবে। আর এই গাউনটি তৈরির নেপথ্যের কারণটি হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে প্রচুর মাস্ক নষ্ট হয়েছে। যা কখনই কাম্য নয়। শুধুমাত্র প্রতীক হিসেবেই যে বাতিল মাস্ক দিয়ে গাউন তৈরির সিদ্ধান্ত, তেমনটা নয়। বাতিল মাস্ক যে ভালো কাজে ব্যবহার করা যায়, এটা থেকে তা স্পষ্ট।’তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
জানা যায়, গাউনের ভেতরের দিকে তিনি ব্যবহার করেছেন প্লাস্টিক পিপিই কিট। অন্যরকম উপাদানে তৈরি এই গাউনের ছবি তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে সময় নেয়নি।
সংস্থার সম্পাদক সারাহ আল্যার্ড বলেন, “ব্রিটেনে বিয়ের অনুষ্ঠান ফের শুরু হওয়ায় আমরা ভীষণ খুশি। এই গ্রীষ্মে হাজারখানেক বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। যুগলের জন্য আবারও ভাল সময় ফিরে এসেছে।”