ফেসবুক তাদের মেসেঞ্জার অ্যাপের গতি আরও বাড়াতে চাইছে। সেই উদ্দেশে আনা হচ্ছে বেশ কিছু ডিজাইন ও ইউআই-গতি পরিবর্তন। পাশাপাশি স্মার্টফোনে যাতে কম জায়গা নেয় মেসেঞ্জার অ্যাপ, সেই দিকেও রাখা হচ্ছে নজর। ৩০ এমবি -এর কম আকারে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে মেসেঞ্জারকে।
ফেসবুক অ্যাপে এই ফিচার থাকলেও মেসেঞ্জারে এ রকম কোনও ফিচার নেই। আগামী দিনে এই ফিচার থাকবে মেসেঞ্জারেও। পছন্দের কাছের বন্ধুদের নিয়ে বানিয়ে ফেলা যাবে গ্রুপ। ফেসবুক অ্যাপে কোনও পোস্টের প্রাইভেসি সেটিংস-এ সেই গ্রুপকে সিলেক্ট করা যাবে।
মোবাইলের মতোই ডেক্সটপের জন্য অ্যাপ আনতে চলেছে মেসেঞ্জার। বর্তমানে ফেসবুকে লগ ইন করার মাধ্যমে মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সহজে চ্যাট করা এবং ভিডিও কল করার সুবিধার উদ্দেশে এই অ্যাপ আনছে ফেসবুক।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাদের ফেসবুক পেজের মেসেঞ্জারে চ্যাট বট অপশন অন করে থাকেন। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাধিক মেসেজের উত্তর দেওয়া যায়। এই চ্যাট-বট আরও উন্নত ও মসৃণ করতে চাইছে ফেসবুক। অ্যাপয়েন্টমেন্ট তৈরি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সক্ষম চ্যাট-বট বানাতে কাজ করছেন ডেভেলপাররা।
২০১৮-এর জুলাইতেই চালু হয়েছিল ফেসবুক ওয়াচ পার্টি। সেই ফিচারে ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে এক সঙ্গে ভিডিও দেখা যেত। সেই ফিচার জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এবার মেসেঞ্জারেও এই ফিচার আনতে চাইছে ফেসবুক। ফলে, গ্রুপে পছন্দের বন্ধুদের সঙ্গেই দেখা যাবে ভিডিও।
মেসেঞ্জারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে এবং যোগাযোগের সুবিধা বাড়াতে নতুন ফিচার আনছে ফেসবুক। চলতি বছর একাধিক সম্মেলনে এই নতুন ফিচারগুলির কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। গত মে মাসে ফেসবুকের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে মেসেঞ্জারের ভবিষ্যত্ নিয়ে আলোচনা করেন মার্ক জুকারবার্গ। সেখানে মেসেঞ্জারের সম্ভাব্য বদলগুলির ব্যাপারে জানান তিনি। মেসেঞ্জারকে শুধুমাত্র মেসেজিং ও কলিং অ্যাপের গন্ডিতে বেঁধে রাখতে চাইছে না ফেসবুক। ২০২০-এর মধ্যেই আরও উন্নত মেসেঞ্জার অ্যাপ আনতে চাইছে ফেসবুক।