আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এসব মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার। পাশাপাশি অর্থদণ্ড হতে পারে।
পিয়াসার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় করা মাদক মামলার অভিযোগপত্রে সিআইডি বলেছে, পিয়াসা মডেলিং পেশার আড়ালে নিয়মিত ক্লাবে যেতেন এবং ক্লাব থেকে টাকার বিনিময়ে নিয়মিত মদ সংগ্রহ করতেন। পরে এসব মাদকদ্রব্য তিনি ক্লাব ও বাসায় বিভিন্ন পার্টিতে আসা লোকজনের কাছে বিক্রি করতেন। তবে পিয়াসা কোন ক্লাব থেকে, কার কাছ থেকে কিংবা কী ধরনের মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করেছিলেন, সে ব্যাপারে অভিযোগপত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই।
পিয়াসার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনের তিন মামলায় তিন ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ভাটারা থানার মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬(১) এর ১০(ক), ৩৮ ও ৪১ ধারায়। গুলশান ও ভাটারা থানার মামলায়ও প্রায় একই ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে গুলশান, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিন মামলা করে পুলিশ। এ মামলাগুলোতে তাকে রিমান্ডে নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।