আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য ধরে রাখার উদ্দেশ্যে নারীদের চুল লম্বা রাখার নির্দেশনা দেয় ইসলাম। শরীয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ কিংবা চুলের স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না থাকলে নারীদের চুল কাটা বা তুলে ফেলা উচিত নয়।
কোনো নারী তার স্বামীর জন্য নিজেকে সজ্জিত করার উদ্দেশ্যে চুল কাটে অথবা চুল পড়া বন্ধ করার জন্য চুল কাটে অথবা তার চুল কাটার পেছনে অন্য কোনো শরিয়ত অনুমোদিত উদ্দেশ্য থাকে, তা হলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে মাথা থেকে পাকা চুল উঠিয়ে ফেলা মাকরুহ। এ ব্যাপারে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহতায়ালার তার জন্য একটি নেকি লেখেন। একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং একটি পাপ মোচন করে দেন।
অপর হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা সাদা চুল উঠাবে না। কারণ এগুলো কেয়ামতের দিন নূর হবে। আর যে (মুসলিম) ব্যক্তির চুল বার্ধক্যের কারণে সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের বিপরীতে একটি করে সওয়াব লেখা হয়, একটি করে গুনাহ মাফ করা হয় এবং একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়।
আরেক বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল-দাঁড়ি উঠাবে না। কেননা কোনো মুসলিম ইসলামের মধ্যে থেকে চুল পাকালে এটা তার জন্য কেয়ামাতের দিন উজ্জ্বল নূর (আলো) হবে। আল্লাহ তার প্রতিটি পাকা চুলের পরিবর্তে তাকে একটি নেকি দান করবেন এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন। এসব হাদিস থেকে বোঝা যায়, মুসলমানদের জন্য পাকা চুল উঠানো উচিত নয়।
তবে দাঁড়ি থেকে পাকা দাঁড়ি উঠিয়ে ফেলা সম্পূর্ণরূপে হারাম; তখন এটি আর উচিত-অনুচিতের পর্যায়ে থাকে না।
কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে দাঁড়ি রাখার ব্যাপারে আদেশ দিয়ে বলেছেন, তোমরা দাঁড়ি ছেড়ে দাও (লম্বা করো) এবং গোঁফ ছোট করো।
আর নারীদের ক্ষেত্রেও একই কথা। অর্থাৎ তাদের জন্যও মাথা থেকে পেকে যাওয়া চুল উঠিয়ে ফেলা মাকরুহ হবে; কিন্তু তাদের চেহারায় যদি কোনো পাকা লোম থাকে, তাহলে তা অবশ্যই উঠানো যাবে না।
কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) ওইসব নারীদের অভিসম্পাত করেছেন, যারা তাদের চেহারা থেকে (সাদা/কালো) লোম কিংবা পশম উঠিয়ে ফেলে।