আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ দীর্ঘ এক বছর পর মাঠে ফিরেই সিরিজ সেরার তকমাটা নিজের করে নিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞার পর ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে এমন কথা শোনা গেল তার মুখেই, ‘আমি সব সময়ই জানতাম, আমার (ছন্দে ফিরতে) কিছু ম্যাচ সময় লাগবে।’ তবে মাঠের লড়াইয়ের চিত্র যেন পুরোই বিপরীত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই প্রথম ম্যাচে ৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স না থাকলেও, পরের ম্যাচে ব্যাটের ছন্দ ধরে ফেলারও ইঙ্গিত দেন অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলে। শেষ ম্যাচে কুঁচকির চোট নিয়ে ওভার অসমাপ্ত রেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে উইকেট না পেলেও ৪.৫ ওভারে দিয়েছেন মোটে ১২ রান।
তবে এর আগে ব্যাট হাতে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৮ তম ফিফটি। তিন ম্যাচে ১১৩ রান আর ৬ উইকেট নেওয়া পারফরম্যান্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে না ফিরতেই এই অলরাউন্ডারের হাতে তুলে দিয়েছে সিরিজসেরার পুরস্কারও। কে বলবে যে ছন্দে ফিরতে সময় লেগেছিল সাকিবের!
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এই সিরিজে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য সন্তুষ্টিও আছে সাকিবের, ‘যেভাবে সিরিজটি গেল, খুবই খুশি। ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে সার্বিকভাবে ভালোই গিয়েছে। শেষ ম্যাচে পুরোটা সময় মাঠে থাকতে পারলে আরো ভালো লাগত। পুরো সিরিজে এটিই হতাশার অংশ।’ ক্যারিবীয় ইনিংসের ৩০তম ওভারে নিজের বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে প্রথম চোট অনুভব করেন। পরের বলটি করে হাত দিয়ে কুঁচকি চেপে ধরে বসেও পড়েন।
চোট কতটা গুরুতর, ২৪ ঘণ্টা না পেরোনো পর্যন্ত সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলার অবস্থায় নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসকরাও। তবে নিজ অনুভব থেকে সাকিব যা জানালেন, তাতে চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে যথেষ্টই, ‘কাল (আজ) সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে হবে কেমন লাগে। ২৪ ঘণ্টার আগে কিছু বলা কঠিন। তবে এই মুহূর্তে কুঁচকির অবস্থা খুব ভালো মনে হচ্ছে না।’
তাতে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামেই শুরু হতে যাওয়া সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলা অনিশ্চিত হয়ে গেল কি না, তা জানতে অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে।
এছাড়াও বোলিংয়ে কিছুটা বৈচিত্র্য আনতে দেখা গেছে সাকিবকে। সাইড আর্ম অ্যাকশনে বোলিং করে অভ্যস্ত এই বাঁহাতি স্পিনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর দেখা যাচ্ছে, ভার্টিক্যাল অ্যাকশনও বল রপ্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নিজেকে ক্রমেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপযোগী করে তোলার তাগিদে এবং আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রতিনিয়তই নিজেকে বদলাতে হবে। তো ব্যাটিং-বোলিংয়ে যেটা করলে ভালো হবে বলে মনে হয়, সেটিই করার চেষ্টা করি।’