আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ অভিনয় জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এর জন্য ১৫ বছর আগে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন জাকিয়া বারী মম। এ প্রজন্মের মেধাবী অভিনেত্রীদের তালিকা করা হলে মমর নাম আসবেই। অথচ মমর শিল্পী জীবনের শুরুটা হয়েছিল অন্যরকম। মাত্র ৩-৪ বয়সে নাচ, গান, ছবি আঁকার ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
ছোটবেলাতেই নাচের জন্য পেয়েছেন জাতীয় শিশু পুরস্কার। শুধু তাই নয়, ছোটবেলায় মফস্বল শহরে বেড়ে ওঠা মম মাকে সঙ্গে নিয়ে টানা ১০ বছর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা এসে নাচ শিখেছিলেন। শিবলী মহম্মদ ও কবিরুল ইসলাম রতন ছিলেন, মমর নৃত্যগুরু। মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ বিশেষ পর্বে অতিথি হয়ে এসে মম তার জীবনের নানা জানা-অজানা গল্পের ডালা মেলে ধরেন।
অভিনেত্রী মম বলেন, ‘সকালবেলা ট্রেনে চেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রওনা করে ঢাকায় এসে নাচ শিখে আবার রাতে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিতাম। এ ক্ষেত্রে আমার মা আয়েশা আক্তারের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। মা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার চাকরি, তখনকার সমাজব্যবস্থা-সবকিছু সামলে আমাকে নিয়ে যে সংগ্রাম করেছিলেন, তারই পরিণতি হয়তো আমার শিল্পী হয়ে ওঠা’। বিটিভিতে শিশুদের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’তেও পুরস্কৃত হয়েছিলেন মম।