রূপালি জগতের রঙিন আলোতে নিজেকে রাঙ্গাতে অনেকেই আসেন এই রঙিন দুনিয়ায়। তেমনি রুপালি জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় পা রেখেছিলেন সুবর্ণা যশ। এক সময় টালিউডে যাতায়াত বাড়ান। সুযোগ পান একটি মেগা সিরিয়ালে নায়িকার বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয়ের। কিন্তু তাতে খুশি হননি সুবর্ণা। পরবর্তীতে সুযোগ খোঁজেন মূল চরিত্রে অভিনয়ের। চেষ্টা করেও সফলতা না পেয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ভারতের উদীয়মান এই অভিনেত্রী।
ভারতের বর্ধমান শহরের মোহনবাগের বাসিন্দা সুবর্ণ যশ (২৩)। গত রোববার রাতে বাড়িতে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সুবর্ণার বাবা নিখিল যশ ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, শহরের বিদ্যার্থীভবন গার্লস স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর কলকাতায় সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করতে যায় সুবর্ণা। তিন বছরের কোর্স। পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং শুরু করে। টালিগঞ্জে যাতায়াত বাড়ে। মেগা সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগও মেলে। কয়েকটি সিরিয়ালে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় শুরু করে। মেগাতেও সুযোগ মেলে। তবে নায়িকার বান্ধবীর চরিত্রে।
‘ময়ূরপঙ্খী’ সিরিয়ালে নায়িকার বান্ধবীর চরিত্র পেয়েছিল সুবর্ণ। কিন্তু লিড কোনও রোল না পাওয়ায় হতাশা ভুগতে শুরু করে সে। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে না বলে অবসাদ চেপে ধরে তাকে। নিখিল যশ আরও জানান, তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। মধ্যবিত্ত পরিবার। সেখান থেকে অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিল সুবর্ণ । কিন্তু আশানুরূপ রোল না মেলায় অবসাদে ভুগতে থাকে। এক সময় অসুস্থ হয়ে যায়। অসুস্থ হলে কলকাতা থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। রোববার বিকেলে যখন সুবর্ণর বাবা কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন মা অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক সেই সুযোগে সুবর্ণ গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে সিলিং থেকে ঝুলে পড়েন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সুবর্ণার শেষ রক্ষা হয়নি।