আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃশরীর সুস্থ না থাকলে ভ্রমনের আনন্দই নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের আজকের আলোচনা ভ্রমণে সুস্থ থাকতে করনীয় নিয়ে। যেকোনো ধরনের শিক্ষা সফর প্রয়োজনীয় ভ্রমন বা আনন্দ ভ্রমণ শুধু সামান্য অসুস্থতার জন্য বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। অথচ একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে আমাদের ভ্রমনের সময় সুস্থ থাকা সম্ভব।
গরমের সময় ভ্রমণে সুস্থ থাকতে করনীয় –
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন ৪-৫ লিটার পানি পান করুন।
- বাইরের ভাঁজাপোড়া এবং মশলাযুক্ত খাবার যতোটা সম্ভব না খাওয়াই ভালো।
- অরস্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুর শরবত এবং গ্লুকোজ বেশি বেশি পান করুন। ফলে শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া ঘামের কারনে পানির চাহিদা পূরণ হবে।
- নিরাপদ পানির বোতল সাথে রাখুন সব সময়। বাহিরে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন।
- বাহিরে যাতায়াতের জন্য আরামদায়ক কাপড় যেমন সুতি ও হালকা রং পোশাক পরিধান করুন। এতে আপনি সারাদিন আরাম এবং স্বস্তি পাবেন। কালো রঙের কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো ।
- নিয়মিত গোসল করুন।
- অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
- পরিমাণমত চা-কপি পান করুন, অতিরিক্ত চা কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
- প্রচন্ড রোদে ভ্রমনের পর ফ্রিজের ঠান্ডা কোল্ড ড্রিংস ও ঠান্ডা পানি খাওয়া যাবেনা।
- গরমের সময় খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন- চিড়া, দই, কলা,রুটি, সিদ্ধ ডিম, ব্রেড ও সবজি।
- অনেক সময় গরম থেকে সর্দি কাশি হতে পারে, সর্দি, কাশি হলে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন: কমলা, মাল্টা, আনারস, পেয়ারা বেশি খেতে হবে।
- অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন ঃআমের মোরব্বা তৈরির সহজ রেসিপি
শীতকালে ভ্রমণে সুস্থ থাকতে করনীয়
- শীতকালে মোটা কাপড়ের তৈরি জামা পরিধান করুন। তবে মনে রাখবেন শীতের জামার ওজন যত কম হবে তত ভালো।
- শীতের সব ধরনের জামা-কাপড় সাথে নিতে হবে। যাতে করে ঠান্ডা না লাগে।
- শীতকালে জলবায়ু রুক্ষ ও শুষ্ক থাকে এবং এ সময় আমাদের ত্বক ফাটে। তাই ত্বক ভালো রাখতে দিনে অন্তত ৫ থেকে ৬ লিটার পানি পান করতে হবে।
- শীতকালে আমরা বেশি অলসতা ও নিদ্রাহীনতা অনুভব করি। তাই শীতকালে সঠিক সময়ে নিদ্রার প্রয়োজন, তাতে করে সতেজ এবং চাপমুক্ত থাকা যায়।
- সম্ভব হলে প্রয়োজনমতো medicine সাথে রাখুন। জ্বর, পেট ব্যথা, অ্যাসিডিটি, বমি, মাথা ব্যথার ওষুধ নিয়ে নিন। এগুলো সঙ্গে থাকলে অনেক সময় বড় ধরনের বিপদ থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
- যাত্রাপথে বমি সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এ সমস্যা বমি প্রতিরোধের জন্য ওষুধ সেবন করতে পারেন। যাঁদের এমন সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ভ্রমনের সময় বই পড়া এবং ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা থেকে বিরত থাকুন বরং প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পারেন। সবচেয়ে ভালো ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন।