ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা মানেই আনন্দের হাট

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ফুটবল হলো আমাদের নস্টালজিয়ার দরজার চাবিকাঠি। ছোটবেলায় ফুটবল আমরা কে খেলিনি? আর কী দিয়ে ফুটবল খেলিনি? একটা দেশলাইয়ের বাক্স, একটা কাঠের টুকরা, কাপড়ের পুঁটলি, শুকনো কচুরিপানার দলা, জাম্বুরা-কী না আমাদের পায়ে ফুটবল হয়েছে! কোথায় আমরা ফুটবল খেলিনি? স্কুলের বারান্দায়, ক্লাসরুমে, মাঠে, পুকুরে, ধানখেতে, উঠানে, বাড়ির পেছনে, বাড়ির ছাদে- কোথায় নয়! ফুটবল তাই আমাদের শৈশবে নিয়ে যায়।

 

শুধু কি খেলা? ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা নাম উঠলেই তো স্মৃতির হাট বসে যায়! সেই যে একেকটা সাদা-কালো টেলিভিশন! বিশ্বকাপ দেখানো শুরু করল বিটিভি। রাত জেগে জেগে একেকটা ম্যাচ দেখা।

 

বাংলাদেশের সমর্থকদের বেশির ভাগই মনে হয় আকাশি-সাদাদেরই সমর্থন করে। সেটা হয়ে আসছে সেই ম্যারাডোনার আমল থেকে। হবেই বা না কেন! ইংল্যান্ডের সঙ্গে আর্জেন্টিনার যুদ্ধ বেধে গেছে ফকল্যান্ড দ্বীপ নিয়ে। সেই উত্তেজনার মধ্যে মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে ম্যারাডোনা ছুটছেন। সব বাধা পেরিয়ে, একের পর এক খেলোয়াড় কাটিয়ে একেবারে নিশানায়। গোল। বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় চিরদিনের জন্যে কিনে নিল আর্জেন্টিনা।

 

আর আছে ব্রাজিল। পাঠ্যপুস্তকে পেলের জীবনী পড়তে হচ্ছে- ব্রাজিলের কালো মানিক। সত্তরের আগের পেলের জাদুকরি খেলা সরাসরি কজনই বা দেখেছে বাংলাদেশের? কটা টেলিভিশনই বা ছিল দেশে! সত্তরের আগে জন্মানো মানুষই বা আছেন কজন! কিন্তু সক্রেটিসের আমলের ব্রাজিল, রোমারিওর ব্রাজিলও আমাদের স্মৃতির সলতে উসকে দেয়।

 

আজকালকার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বললে তারা হাসে। শোনো, তোমার ব্রাজিল ২০০২ সালের পর আর বিশ্বকাপ জেতেনি। ১৯ বছর হয়ে গেল। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই ১৯৮৬ সালে। সেদিন যাঁর জন্ম হয়েছিল, আজ তাঁর বয়স ৩৫। তবু বাংলার মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত, আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল।

 

এখন কোটি টাকার প্রশ্ন! কে জিতবে এবারের কোপা! আমি তো সম্ভাবনা দেখি ৫০-৫০। নিজেদের মাঠে ব্রাজিল ছেড়ে কথা কইবে না। আর মেসির আর্জেন্টিনা তো বেশ শক্তপোক্তই মনে হচ্ছে! খেলাটা জমবে আশা করা যায়।

Leave a Reply

Translate »