আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ রাজধানীর বাজারে ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রি হওয়া মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। বাজারে এমন কোনো সবজি নেই যার দাম বাড়েনি। বলতে গেলে বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।
এ ছাড়াও বেড়েছে লেয়ার ও পাকিস্তানি মুরগির দাম। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কারওয়ান বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২১০-২২০ টাকা, লেয়ার ৩৪০-৩৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকা। গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৮৫ থেকে ১৯৫ টাকা দরে।
আরো পড়ুনঃনেদারল্যান্ডসে ফের কোরআন অবমাননা
রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে ২১০ টাকা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও তার একটু পাশে বাটা সিগনাল-নিউমার্কেট সড়কের দোকানগুলোতে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। আবার রাজধানীর মুগদা, মান্ডা খিলগাঁও, মালিবাগ বাজারে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। একইভাবে বাজার ভেদে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে লেয়ার।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের থেকে এই সপ্তাহে কেনা বেশি পড়েছে। তাই দামও বাড়তি। কম দামে পেলে তো আমাদের দিতে সমস্যা নেই।
তবে ক্রেতারা বলছেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। খুচরা বাজারে কোনো মনিটরিং না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা আর আগের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এ ছাড়া ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
এদিকে বাজারে এমন কোনো সবজি নেই যার দাম বাড়েনি। বলতে গেলে বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। তুলনামূলক কম দাম বলতে শুধু মাত্র পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা। আর বরবটি, টমেটো তো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এ ছাড়া সেঞ্চুরি ক্রস করে ১২০-এ গাজর, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। সব মিলিয়ে অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে সব সবজির দামও আকাশ ছোঁয়া।
এ ছাড়া মাছের বাজারে কিছুটা কমেছে পাঙাশের দাম। ২০০ টাকা মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ছোট পাঙাশ। তবে আগের দামেই তেলাপিয়া ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক সপ্তাহ ধরে একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা।
এ ছাড়াও পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।